দেশের সময়, ওয়েব ডেস্ক:- শুক্রবার বারাসাতের আদিত্য অ্যাকাডেমির চব্বিশতম বার্ষিক দিবস উদযাপনের সমারোহে এসে বাংলার কিংবদন্তি ক্রিকেট নক্ষত্র সৌরভ গাঙ্গুলী উদ্বোধন করলেন স্কুল চত্বরে একটি নতুন ক্রিকেট মাঠের। আদিত্য অ্যাকাডেমি ও বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে প্রস্তুত এই মাঠ ও স্টেডিয়াম বাংলার মধ্যে ব্যক্তিগত মালিকানায় প্রস্তুত প্রথম মাঠ। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে সাফল্যের দিশা দিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ যা বললেন তার নির্যাস ছিল জীবনে বাস্তববাদী হওয়া। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে সৌরভের বার্তা, “জীবনে যে পথ বেছে নিতে মন চাইবে সেই পথ অনুসরণ করা”। “জোর করে কোনো পেশা না চাপিয়ে দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের কাছে আবেদন রাখেন সৌরভ”। এদিন আদিত্য গ্রুপের চেয়ারম্যান অনির্বান আদিত্য সৌরভ-কে পাশে নিয়ে সমারোহের মঞ্চ থেকে যুগ্মভাবে ঘোষনা করেন সৌরভ গাঙ্গুলী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও আদিত্য অ্যাকাডেমির যৌথ উদ্যোগে আগামী দিনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইন্টারন্যাশনাল স্কুল পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় খুলতে চলেছে। ২০২০ সালের মধ্যেই শিলিগুড়ি-তে উদ্বোধন হবে প্রথম স্কুলটির। এবছরের বার্ষিক সমারোহ যাকে জেননেক্স্ট নামে অভিহিত করা হয়েছে তার থিম ছিল ‘আই সি সি বিশ্বকাপ ২০১৯। ‘ তার অঙ্গ হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হাজির হন বারাসাতের ইংরেজী মাধ্যম স্কুলটিতে। এবিষয়ে কর্ণধার অভিষেক আদিত্য জানান, “সৌরভ ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে টীম ইন্ডিয়াকে তুলে যে দেশাত্ববোধের বার্তা রেখেছিলেন তাকে সামনে রেখেই এগোনো হয়েছে”। পাশাপাশি রঞ্জি ম্যাচ খেলার উপযোগী মাঠ গড়ে তুলে অভিষেক ডালমিয়ার নাম জানাতে ভোলেননি তিনি ।
“ভারতই জিতবে অস্ট্রেলিয়া
সিরিজ”, খেলার প্রসঙ্গে অকপট ও সাবলীল ভঙ্গীতে নতুন মাঠে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মহারাজ জানান, “ভারত কতটা নিজেদের প্রয়োগ করতে পারে তার ওপরে জেতা নির্ভর করছে”। এর শর্ত হিসেবে তিনি জানান, “ওপেনারদেরও রান করতে হবে”। “তবে এগারো জনকেই কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে মাঠে”। “বিরাট কোহলির ব্যাটিং সাফল্য যে সমগ্র ক্রিকেট বিশ্ব মেনে নিয়েছে” সে কথাও বলেন সৌরভ। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনার সময়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পারমিতা ঘোষাল জানান, “শুধু পড়াশুনো নয় খেলাধুলো পাশাপাশি করা প্রয়োজন ছাত্র-ছাত্রীদের”। আর সৌরভ কে কাছে পেয়ে পড়াশুনো ও খেলাধূলোর উর্ধে উঠে জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠির সন্ধান পেতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছিল উন্মাদনার আবেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here