দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এক ব্যক্তি এক পদ! এই নীতি কার্যকর করতে গতকাল সংগঠনে বড়সড় রদবদল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দেখা যায় প্রশাসনিক স্তরেও সেই রদবদল শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। তাতে অনেক মন্ত্রীকে পুর প্রশাসক ও প্রশাসক মণ্ডলী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু অন্যতম।

সুজিত ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর তিনি প্রশাসকমণ্ডলীরও অন্যতম সদস্য ছিলেন। এদিন সুজিতকে দক্ষিণ দমদম পুরসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুধু সুজিত নন। হাওড়া কর্পোরেশন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়কে। তাঁর জায়গায় নতুন পুরপ্রশাসক হয়েছেন চিকিৎসক সুজয় চক্রবর্তী। মধ্যগ্রাম পুরসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এবার কলকাতার পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে দেওয়ার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল?

দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু করতে চলেছে তৃণমূল , সেই অনুযায়ী যিনি মন্ত্রী রয়েছেন তিনি যে সংগঠন বা অন্য দায়িত্বে থাকবেন না তা প্রায় স্পষ্টই হয়ে উঠতে গুরু করেছে সময়ের সঙ্গে। গতকাল সংগঠনের রদবদলে দেখা গিয়েছে, একাধিক মন্ত্রী যাঁরা জেলা সভাপতি ছিলেন তাঁদের সরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, স্বপন দেবনাথ, সৌমেন মহাপাত্রদের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে, নবান্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে শুরু করেছে। একাধিক পুরসভার প্রশাসক বদল করা হচ্ছে।

সপ্তাহ দুয়েক আগে মধ্যগ্রাম পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পুরপ্রশাসক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। কথায় কথায় তিনি বলেছিলেন, দলে যে হেতু এক ব্যক্তি এক পদ চালু হচ্ছে সে হেতু তাঁকে পুরপ্রশাসক পদ ছাড়তে হবে। কাউন্সিলরদের উদ্দেশে রথীন এও বলেছিলেন, “আপনারা ভাল করে পুরসভা চালান।” রথীন দীর্ঘদিন মধ্যগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান এবং বিধায়ক। একুশের ভোটে জয়ের পরে তাঁকে মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন দিদি। খাদ্য দফতরের মতো বড় দফতর দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাই পুরপ্রশাসক পদ ছাড়তে হচ্ছে তাঁকে। এদিন মধ্যমগ্রামেরও বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here