পার্থ সারথি নন্দী, বনগাঁ:‌ একে করোনা সঙ্গে দোসর বৃষ্টি। দুর্যোগের জেরে থমকে গিয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কোনওভাবে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে মূর্তিগুলি। একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে যেমন মূর্তি গড়ার কাজ আটকে তেমনই প্রতিমা শুকোনোর কাজেও বিড়ম্বনা হচ্ছে। এদিকে পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। আর এই আবহাওয়ার জেরে প্রতিমা শুকোতে হচ্ছে স্ট্যান্ড ফ্যান চালিয়ে। 

বনগাঁর পটুয়া পাড়ার মৃৎশিল্পী তথা ‘শিমুলতলা ও তালতলার মৃৎশিল্পী স্বপন ভট্টাচার্য ও সেন্টু ভট্টা চার্য বলেন, প্রতিমার মাটি না শুকোলে ভেজা মাটিতে রং ধরবে না। কিন্তু যে ভাবে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে তার জেরে মাটি শুকোচ্ছে না। তাই কাজও থেমে যাচ্ছে। সব সময়ে কি আর বড় বড় ফ্যান চালিয়ে প্রতিমা শুকোনো যায়?’ তিনি আরও জানান, ‘‌এবার অনেক দেরিতেই বায়না এসেছে। কয়েকদিন আগেও নতুন বায়না এসেছে। কিন্তু সেই বায়না নেওয়ার ক্ষেত্রেও এখন দ্বিধায় রয়েছি। কারণ, পুজোর তো আর এক মাসও বাকি নেই।’‌

মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, প্রতিবার আগের থেকে বায়না আসার ফলে বৃষ্টি হলেও তেমন অসুবিধা হয় না। মূর্তি শুকোনোর জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। কিন্তু এবছর গতবারের থেকে মূর্তির সংখ্যা বাড়লেও তেমন আশাব্যাঞ্জক কিছু নয়। বেশিরভাগই একচালা  প্রতিমা। আর তাও বায়না এত দেরিতে। যার ফলেই এই সমস্যা। আর এখন শিল্পীরা কবে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাবে তার আশায় রয়েছেন। মা যে এল বলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here