দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী বছর মার্চ মাসেই দেশে আসতে পারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। সেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজও গ্রহণ করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন নিজেই। আজ, রবিবার একটি বৈঠকে এ কথাই জানালেন মন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে আশ্বাসের বার্তা দিতে গিয়েই এ কথা বলেন তিনি

কয়েক মাস আগে আলোচনা শোনা গিয়েছিল, ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনেই দেশে আসবে করোনার ভ্যাকসিন। ভারত বায়োটেক সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে বলে শোনা গেছিল। চতুর্দিকে এ নিয়ে চর্চা শুরু হয়। প্রশ্নও ওঠে নানা। শেষমেশ টিকা আসেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, করোনার ভ্যাকসিনের মতো জরুরি বিষয়ের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা উচিত হবে না। কারণ তাতে পরীক্ষার স্তরে আপস করতে হতে পারে, ফলে ঝুঁকি থেকে যেতে পারে ভ্যাকসিন নিয়ে। আর মানুষের জীবন নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয় বলেই পরামর্শ দেন তাঁরা।

এর পরে সেই টিকার কথা চাপা পড়ে যায়। ইতিমধ্যে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় তৈরি কোভিশিল্ড টিকার ট্রায়াল শুরু করেছিল সেরাম, কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় বন্ধ করা হয়েছিল সেটি। ব্রিটেনে ছাড়পত্র মেলায় সেরাম ফের এদেশে শুরু করবে ট্রায়াল।

এখন দেশবাসীর মনে প্রশ্ন একটাই, কবে আসবে করোনার টিকা? আর কতদিন ভয়ে ভয়ে বাঁচতে হবে সংক্রমণের। যদিও টিকা এসে যাওয়া মানেই যে অসুখটি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া তা নয়, তবু ভ্যাকসিনের ওপরেই এখন পুরোপুরি আশা করে আছেন সকলে।

সে কথা জানিয়েই রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঠিক কবে ভ্যাকসিন আসবে তা এখনও নিশ্চিত করা না গেলেও, ২০২১ সালের প্রথম দিকেই, মার্চ মাসের মধ্যেই চলে আসবে ভ্যাকসিন।

এ কথা জানানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ-ও নিশ্চিত করেন, ভ্যাকসিনের দাম এবং মানুষের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ভ্যাকসিন বিলি করা হবে না। যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তারাই যাতে সবার আগে ভ্যাকসিন পায়, সে ব্যবস্থাই করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here