দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : সল্টলেকের ইজেডসিসিতে আজ শনিবার পূর্ণিমা থাকতে থাকতেই লক্ষ্মী পুজো করবে বিজেপি। একদিকে যখন সেই পুজোর তোড়জোড় চলছে শুক্রবার ইজেডসিসিতে সাংবাদিক বৈঠক করেই স্বপন দাশগুপ্ত, রন্তিদেব সেনগুপ্তরা ঘোষণা করে দিলেন, বাংলায় লক্ষ্মী আনার কর্মসূচি।


বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, আসছে ডিসেম্বরেই রাজ্যে শিল্প সম্মেলন করবে তারা। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিরোধী দল এভাবে শিল্প সম্মেলন করছে তা কার্যত নজিরবিহীন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি এটা ভাল করেই বুঝতে পারছে শুধু মমতা সরকারের বিরোধিতা দিয়ে একুশের বৈতরণী পার করা যাবে না। জিততে গেলে দরকার বিকল্প কর্মসূচি। তাঁদের মতে, বাংলার ক্ষেত্রে শিল্পায়নকেই সেই বিকল্পের হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া স্কোয়াড।


ওই শিল্প সম্মেলনের নাম দেওয়া হয়েছে কাউন্টার বিজনেস ইন্টারন্যাশনাল সামিট। রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, বন্ধ কলকারখানার জমিতে শিল্প স্থাপনের বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গুরের জমিতে শিল্প আনার বিষয়টি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় দেখছেন বলে জানিয়েছেন স্বপনবাবু।

রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারে থাকার সুবাদে বহু শিল্পপতি এখন নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ। ফলে তাঁদের বাংলায় সম্মেলনে ডেকে এনে শিল্পায়নের প্র্তিশ্রুতি আদায় গেরুয়া শিবিরের খুব একটা কষ্টসাধ্য হবে না। আর সেটা হলে কার্যত নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণাই হয়ে যাবে।


মনে পড়ে ২০০৬-এর বিধানসভার কথা? অনেকে বলেন তত্‍কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’ এই একটা স্লোগানই সেবার বামফ্রন্টকে ২৩৫-এ পৌঁছে দিয়েছিল। একুশের আগে বিজেপি শুধু স্লোগান দিয়েই থেমে থাকতে চাইছে না। হাতে কলমে বাণিজ্য সম্মেলন করে দেখাতে চাইছে।


এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শিশির বাজোরিয়া বলেন, সম্মেলনের নামে শিল্পপতিদের এনে বড় হোটেলে রাখলেই হয় না। বিনিয়োগ টানতে গেলে পরিকাঠামো দরকার সেই সঙ্গে দরকার সুষ্ঠু পরিবেশ। বাংলায় এখন সেটা নেই। বিজেপি সরকারে এলে সেটাই সুনিশ্চিত করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here