দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওমতেই আপসরফায় রাজি হচ্ছিলেন না বিধায়ক শচীন পাইলট। মঙ্গলবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। এদিন সকালে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে উপস্থিত হননি শচীন। তার পরেই তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর অনুগামী দুই মন্ত্রীকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, রাজস্থানে তাদের সরকারকে ফেলার জন্য শচীনকে টোপ দিয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পরে ফের কংগ্রেসের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিদ্রোহ করলেন।

বহিষ্কৃত হওয়ার পরে শচীন টুইট করে বলেছেন, “সত্য কো পরেশান কিয়া যা সকতা হ্যায় পরাজিত নেহি।”

রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী না হতে পেরে আগে থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন শচীন। গত রাজ্যসভা ভোটের পরে পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠায়। পুলিশের বক্তব্য, তারা ফোনে আড়ি পেতে শুনেছে, শচীন রাজস্থানে সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ ডেকে পাঠানোয় শচীন খুবই অসন্তুষ্ট হন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত ব্যাপারটায় খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, পুলিশ আমাকেও সমন পাঠিয়েছে।

২০০ আসনবিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন ১০৭ জন। ১৩ জন নির্দল বিধায়ক কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিলেন। এছাড়া সরকারের পক্ষে ছিলেন ছোট দলগুলির আরও পাঁচজন বিধায়ক। কিন্তু মঙ্গলবার কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর মনে হচ্ছে, সরকারের পক্ষে আছেন ৯০ জন কংগ্রেস বিধায়ক, সাতজন নির্দল বিধায়ক এবং ছোট দলগুলির পাঁচ বিধায়ক। সব মিলিয়ে এখন সরকারের পক্ষে আছেন ১০২ জন বিধায়ক। বিধানসভায় গরিষ্ঠতা পেতে চাই ১০১ জন বিধায়ক। প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে মাত্র একজন বেশি বিধায়ক আছেন গেহলোটের সঙ্গে।

সোমবার রাতে রাজস্থানের পর্যটন মন্ত্রী বিশবেন্দ্র সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ১০ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, ১৬ জন বিধায়ক বসে আছেন। সেখানে অবশ্য শচীন পাইলটকে দেখা যাচ্ছে না। ভিডিও-র নীচে লেখা হয়েছে, ‘ফ্যামিলি’। একটি সূত্রে খবর শচীন পাইলটের সঙ্গে এখন আছেন ২০ জন বিধায়ক। তাঁদের ১৭ জন কংগ্রেস নেতা। বাকিরা নির্দল। বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে দু’জন রাজস্থানের মন্ত্রী।

ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি নামে এক ছোট দলের দু’জন বিধায়ক আছেন রাজস্থানে। ওই দল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে তারা সমর্থন তুলে নিয়েছে। দুই বিধায়ককে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ থাকতে হবে। অশোক গেহলোট বা শচীন পাইলট, কাউকে সমর্থন করা চলবে না। দুই বিধায়ক অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে থাকতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here