দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অনায়াসে বিধানসভায় শনিবার দুপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে আস্থাভোট পেরলো উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাড়ি। ২৮৮ আসনের বিধানসভায় মোট ১৬৯টি ভোট পড়েছে আঘাড়ির পক্ষে। যা ম্যাজিক ফিগার ১৪৫ থেকে অনেক বেশি।

ভোটাভুটি শুরুর আগেই এনসিপি–র দিলীপ বালসে পাটিলকে স্পিকার নিয়োগ এবং জাতীয় সঙ্গীত ছাড়া অধিবেশন শুরু হওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশনের নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা চেঁচামেচি জোড়েন।
তাঁদের নিষেধ করে প্রোটেম স্পিকার তথা বিজেপি বিধায়ক কালিদাস কোলাম্বকর বলেন রাজ্যপাল এই অধিবেশনের অনুমতি দিয়েছেন। সব নিয়ম মেনেই অধিবেশন বসেছে। কিন্তু বিজেপি বিধায়করা প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করেন। পরে বিধানসভার বাইরে ফড়নবিশ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, এই অধিবেশন সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অসাংবিধানিক।

স্পিকার নির্বাচন না করে তাড়াতাড়ি আস্থাভোট নেওয়া হল কেন সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রবিবার নির্বাচিত হবেন।

শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি, তিন দলের জোট সরকার মহাবিকাশ আঘাড়িতে মোট ১৫৪ জন বিধায়ক আছেন। আস্থাভোটের আগে বিধানসভা চত্বরে শিবাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন উদ্ধব। এদিন অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে সব বিধায়কদের হুইপ জারি করেছিল তিন দলই। ছত্রপতি শিবাজি এবং বাবা, মায়ের নামে মুখ্যমন্ত্রিত্বের শপথ গ্রহণ করে ভুল করেছেন উদ্ধব ঠাকরে বলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। শনিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় উদ্ধব বলেন, এধরনের ভুল তিনি আবার করতে চান।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, গত শনিবার নাটকীয় মোড় নেয় মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হন এনসিপির অজিত পাওয়ার। যদিও সেই সরকারের পতন ঘটে ৮০ ঘণ্টার মধ্যে। অজিত পাওয়ার পুরানো দলে ফিরে যান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here