দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল। আজ অর্থাত্‍ বুধবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ দিল্লির হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতেই ট্যুইটারে তাঁর ছেলে ফৈজল প্যাটেল বাবার মৃত্যুর খবর দেন। আহমেদ প্যাটেলের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

ট্যুইটার ফৈজল লেখেন, ‘ভোর সাড়ে ৩টেয় আহমেদ প্যাটেল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এক মাস আগে তাঁর করোনা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। গত কয়েকদিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনিত হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।’

আহমেদের মৃত্যুতে টুইট করে শোকবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহমেদের ছেলে ফৈজলের সঙ্গে কথাও বলেছেন মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আহমেদ পটেলজি-র প্রয়াণে শোকাহত। সমাজের সেবায় জীবনের বহু বছর কাটিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস দলকে পোক্ত করতে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ক্ষুরধার মস্তিষ্কের জন্য তিনি বরাবরই পরিচিত। আহমেদ ভাইয়ের আত্মার শান্তিকামনা করি’।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কংগ্রেস। কংগ্রেসের ক্রাইসিস ম্যানেজার থেকে গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন, আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক খুবই গভীর। আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী লিখলেন, ‘এমন একজন সহকর্মীকে হারালাম, যিনি গোটা জীবন দলকে উত্‍সর্গ করে দিয়েছেন। ওঁর বিশ্বাসযোগ্যতা, কর্মনিষ্ঠা ও কর্তব্যের প্রতি অবিচল ও উদারতা সব সময় ওঁকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। একজন অপূরণীয় সহযোদ্ধা। সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওঁর পরিবারকে আমার গভীর সমবেদনা জানাই।’

গুজরাত থেকে রাজ্যসভা সাংসদ আহমেদ প্যাটেল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। গত ১৫ নভেম্বর তাঁকে গুরগাঁওয়ের মেদান্তা হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়।

করোনা আক্রান্ত হয়ে শরীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয় প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের।অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হন আহমেদ প্যাটেল। তারপর থেকে চিকিত্‍সা শুরু হয়। 

হাইলাইটস

  • রাতেই ট্যুইটারে তাঁর ছেলে ফৈজল প্যাটেল বাবার মৃত্যুর খবর দেন
  • আহমেদ প্যাটেলের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর
  • গুজরাত থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন আহমেদ প্যাটেল

আহমেদ প্যাটেল তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন গুজরাতের স্থানীয় নির্বাচন থেকে। বাহরুচ জেলায় ১৯৭৬ সালে। পরে গুজরাত ও কেন্দ্রে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আহমেদ প্যাটেল ছিলেন গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজনও। ১৯৮৫ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমলে সংসদীয় সচিব হিসেবে যোগ দেন আহমেদ প্যাটেল। কংগ্রেসের ক্রাইসিস ম্যানেজার ছিলেন বললেও অত্যক্তি হয় না আহমেদ প্যাটেল সম্পর্কে।

  • আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কংগ্রেস
  • আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক খুবই গভীর
  • গোটা জীবন দলকে উত্‍সর্গ করে দিয়েছেন

আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কংগ্রেস পার্টির স্তম্ভ ছিলেন আহমেদ প্যাটেল। ওঁর প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাস ছিল কংগ্রেসের জন্য। দলের কঠিন সময়েও দল থেকে চলে যাননি। অত্যন্ত মূল্যবান সম্পত্তি দলের। আমরা সবাই ওঁকে মিস করব।’

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার ট্যুইট, ‘আহমেদজি শুধু মাত্র একজন তুখোর সহকর্মী ছিলেন না, আমার অত্যন্ত বিশ্বস্ত পরামর্শদাতাও ছিলেন। সব সময় ওঁর পরামর্শ নিয়েছি। এমন একজন বন্ধু, যিনি সর্বদা আমাদের পাশে ছিলেন। ওঁর মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি।’

আহমেদ প্যাটেলের ছবি শেয়ার করে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের ট্যুইট, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও স্তম্ভিত, আহমেদ ভাই আর নেই। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আপনাকে সব সময় মনে রাখবো, আপনি আমাদের হৃদয়ে থাকবে চিরকাল। শান্তিতে ঘুমোয় ভাই আমার ।

 থেকে শিক্ষণীয়।’

আজ অর্থাত্‍ বুধবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ দিল্লির হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহমেদ প্যাটেল। রাতেই ট্যুইটারে তাঁর ছেলে ফৈজল প্যাটেল বাবার মৃত্যুর খবর দেন। আহমেদ প্যাটেলের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

ট্যুইটার ফৈজল লেখেন, ‘ভোর সাড়ে ৩টেয় আহমেদ প্যাটেল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এক মাস আগে তাঁর করোনা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। গত কয়েকদিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনিত হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।’

গুজরাত থেকে রাজ্যসভা সাংসদ আহমেদ প্যাটেল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। গত ১৫ নভেম্বর তাঁকে গুরগাঁওয়ের মেদান্তা হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here