দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় নজিরবিহীন ভাবে এ বার বিধানসভা ভোট হবে ৮ দফায়। ১৬ সালের ভোটে ৭ দফায় ভোট হয়েছিল। এ বার তার থেকেও এক দফা বেশি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নির্বাচনী নির্ঘণ্ট নিয়ে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘এই ভোট সূচি কী নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহের কথায় হয়েছে?’ ভোটে সূচি দেখে প্রশ্ন তৃণমূল সুপ্রিমোর। তিনি বলেন, ‘পার্টি অফিস থেকে যে তালিকা এসেছিল এদিন হুবহু তাই ঘোষণা করল কমিশন’।


এদিন সকাল থেকে বাড়িতে ছিলেন মমতা। তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে এদিন হোম যজ্ঞ পুজো ইত্যাদি হয়েছে। কমিশনের ঘোষণা শেষ হতে সন্ধ্যায় বাড়িতেই প্রেস কনফারেন্স করেন দিদি। তিনি বলেন, আমি সূত্র থেকে জেনেছি, বিজেপি মানে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা বাংলায় যে ভাবে ভোট করাতে চেয়েছিলেন, সে ভাবেই ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির লিস্ট আমি দেখেছি। সেই তালিকাই পড়ে শুনিয়েছে কমিশন।

কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা কী ঠিক হল? বিহারে বিধানসভায় ২৪০ টি আসন রয়েছে। সেখানে ভোট হয়েছে তিন দফায়। অসমে এক দফায় ভোট হচ্ছে ২৭ তারিখ। তামিলনাড়ুতে ২৩৯ টি আসন রয়েছে। সেখানেও এক দফায় ভোট হচ্ছে। কেরলেও তাই। আর পশ্চিমবঙ্গে কিনা ৮ দফায় ভোট হচ্ছে! এটা কি সুবিচার হল!

মমতার অভিযোগ, মোদী-অমিত শাহরা জেলা ভাগ করতে চাইছেন। একেকটি জেলায় পার্ট ওয়ান, পার্ট টু করে ভোট নেওয়া হবে। এটা আবার কী সিস্টেম! শুধু তা নয়, তৃণমূলনেত্রী এদিন সরাসরি অভিযোগ করেছেন যে, প্ল্যানমাফিক অসম, কেরল, তামিলনাড়ুতে আগে ভোটটা করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যাতে বাকি সময়টা অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদীরা
দিদির কথায়, “আমি বাংলার নিজের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দেশে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আমাকে হারাতে গোটা কেন্দ্রের সরকার নেমে পড়েছে। আমি বলছি, বাংলাকে আমি ভাল করে চিনি। বাংলার বর্ডার টু বর্ডার চিনি। সব চক্রান্ত ভেঙে দেব। খেলতে চাইছেন তো? খেলা তো হবেই। হারিয়ে ভূত করে দেব। আট দফাতেই খেলা হবে”।
কমিশনের কর্তারা অবশ্য বলছেন, বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা ও নির্বাচনী হিংসা যে কোন পর্যায়ে যেতে পারে তা গত পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা নির্বাচনেই দেখা গিয়েছে। ভোটের আগে রোজ রাজনৈতিক হিংসায় মানুষ আহত হচ্ছেন বা মারা যাচ্ছেন। এই অবস্থায় কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করানোর স্বার্থে কোনওভাবেই ঝুঁকি নিতে চাইনি। সেই কারণেই ভোট আট দফায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here