দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভরসন্ধেয় বাজারের মধ্যে ব্যবসায়ীকে খুন। সোমবার বিকেলের এই ঘটনা ঘিরে তুমুল আতঙ্ক ছড়াল হাবড়ার শ্রীপুর বাজারে। দুষ্কৃতীর হানায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সূত্রের দাবি, ধার শোধ করতে বলাতেই এই হামলা।
সোমবার ভর সন্ধেয় এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার শ্রীপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছ, মৃত ব্যবসায়ীর নাম পার্থসারথি বিশ্বাস (৪০)। আচমকা এমন ঘটনায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছে যায় হাবড়া থানার পুলিশ।ব্যবসায়ীক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা পার্থসারথি বিশ্বাস। বছর ৪৫-এর পার্থবাবুর আসবাবপত্রের ব্যবসা। শ্রীপুর বাজারেই তাঁর দোকান রয়েছে। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় এক স্বর্ণব্যবসায়ী দোকানে আসেন। তাঁকে নিয়ে দোকানের দোতলায় চলে যান পার্থবাবু। দুজনের মধ্যে খানিকক্ষণ কথাও হয়। এর মাঝেই ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বেরিয়ে যায়। খানিকক্ষণ পর পার্থবাবু দোতলা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় নেমে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সন্ধে সাতটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত সন্ধান শুরু করেছে তারা। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী পার্থবাবুর কাছ থেকে মোটা টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা শোধ চাওয়ার পর থেকেই পালিয়ে বেরাচ্ছিল অভিযুক্ত। এদিন ফিরে এসে পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসে সে। টাকা চাওয়ার পরই ফের গণ্ডগোল শুরু হয়। তখনই পার্থবাবুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সে। পরে পালিয়ে যায়। তবে ভর সন্ধেয় ব দোকানে ঢুকে এমন হামলায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার পুরপ্রশাসক নারায়নচন্দ্র সাহা বলেন, ভয়াবহ ঘটনা। খবর পেয়েই হাসপাতালে এসেছিলাম। পুলিশকে বলেছি যাতে দ্রুত অভিযুক্ত ধরা পরে। নিহতের পরিবারের পাশে আছি।” পুলিশ জানিয়েছে, খুন ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আর্থিক লেনদেন নাকি এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।