ট্রাভেলগ -লিখছেন

দেবন্বিতা চক্রবর্তী,

সিমলাতে কয়েকটা দিন কাটিয়ে, সিমলা ছেড়ে বেরোনোর পর ই হঠাৎ মন টা কেমন করে উঠল , এই তো আমাদের ভবিতব্য চেনা জগৎ ছেড়ে হঠাৎ অচেনা জগৎ এ ঢুকে পড়া ।তবে অজানা কে জানার চেষ্টা আর অচেনা কে চেনা আর না পাওয়া কে পাওয়ার জন্যই তো আমাদের এই ছুটে চলা, দেশ থেকে দেশান্তরে।

সিমলার সৌন্দর্যে যেভাবে মুগ্ধ হয়েছিলাম সেই রকম ই মানালীর আকর্ষণটা ছিল অনেক বেশী।গাড়ি চলছে আঁকাবাকা পথ বেয়ে ৷সিমলা থেকে মানালীর দূরত্ব টা প্রায় ২৬৫ কিলোমিটারের মতো ৷দুটি ন্যাশানাল হাই ওয়ে পরে NH205 ও NH3 ৷পথের ধারে কখন ও মন মাতানো সবুজে ঘেরা পাইনের বন আবার কখনও রুক্ষ পাহাড় বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ৷

তবে লোক বসতি সব জায়গাতেই বেশ ভাল রকম ই চোখে পড়ে ৷ সিমলা থেকে ৩৩ কিমির মাথায় পরে শালঘাট । চালকের হাতের বিশ্রামের জন্য এখানে রেস্ট নেওয়া হল ।
শালঘাটের পর আসে ডালামোর ,বেগে ও বেড়ি জংশন I সব জায়গাতেই সিমেন্টের কারখানা রাস্তার ধার থেকে ই দৃশ্যমান I এর পরের বড় শহর বলতে পরে বিলাসপুর । সিমলা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০৫ কিমির মতো Iবিলাসপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে চলার পর হরিবাগ জংশনে পৌছাঁলো আমাদের গাড়ি ৷

হরিবাগে আমাদের গাড়ির বাম পাশ দিয়ে চলতে লাগল গাঢ় সবুজ রং এর সুন্দরবনগড় লেক ৷ তবে লেকের ভিতরে যাওয়া বা ছবি তোলার কোনো নিয়ম নেই ৷ সুন্দরবন লেক থেকে ২৫ কিমি র মধ্যে পরে মান্ডি lমান্ডি পৌছাঁলাম যখন তখন প্রায় সন্ধ্যা হব হব করছে ৷ মান্ডি তে এসে আবার এক তরফা টিফিন ব্রেক।

শীতের কুয়াশায় মিলে মিশে স্থানীয় মানুষদের সাথে বসে আগুন পোহানো আর চা খাওয়ার যেন এক অদ্ভূত আনন্দ ৷এবার আমাদের সাথ নিল বায়াস নদী । যে নদী বিপাশা নামের অপভ্রংশ রূপ ৷

স্থানীয়রা সবাই বিয়াস ই বলেই ডাকেন তাদের এই কুলকুল ধ্বনী উদ্ভূত স্রোতোস্বিনী নদীকে ৷ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ঠান্ডায় হাঁড় পর্যন্ত কেঁপে গেল ৷ মানালীর দিকে পৌঁছাতে আর মাত্র ৪ থকে ৫ ঘন্টা ৷(ক্রমশ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here