বিসর্জনের পরে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর শহর বারাসতের কালী পুজো ২০১৮ কেমন ছিল, ঘুরে এসে লিখছেন দেশের সময় এর প্রতিনিধি-রতন সিনহাঃ

পঞ্জিকা মতে কালী পুজোর বিসর্জন এর সময় পেড়িয়েগেছে অনেক আগেই৷গত মঙ্গলবার ছিল দীপাবলী,৪দিন কেটে গেলেও শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত উৎসবমুখর বাঙালীর ভিড়ে ঠাসা ছিল প্রতিটি মন্ডপ ৷ভিড়টা শুরু হয়েছিল গত রবিবার থেকেই। সময়ের সাথে সেই ভিড় বদলে যায় জনসমুদ্রে। শুধু মন্ত্রী, নেতা, মুম্বইয়ের অভিনেতা-অভিনেত্রী বা রাজ্যের মানুষই নন, বিদেশি অতিথিরাও ভিড় করেছিলেন মণ্ডপ, প্রতিমা আর আলোকসজ্জা দেখতে অবিভূত তাঁরা।

এক কথায় এবারের কালীপুজো যেন ৫দিনের দুর্গাউৎসবে পরিনত হয়েছিল৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসতের। প্রতিটি রাস্তায় মায়াবী আলোয় বন্ধু,বান্ধবী দের দল বেঁধে নিজস্বী তোলার ধুম ছিল চোখে পরার মোতো৷বারাসত স্টেশন সংলগ্ন ‘পায়োনিয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাবে’র বিশাল পুকুরটি বদলেগিয়েছিল পুণ্যতোয়া গঙ্গায়। আর সেখানেই নদী-পাড়ে হরিদ্বারের মনসাদেবীর মন্দিরের আদলে মণ্ডপ,যেন হরিদ্বারের পীঠস্থানকেই হাতের মুঠোয় পেয়েছে বাঙালী। বিশাল মাঠে বসেছিল মেলা।

কলোনি মোড় সংলগ্ন ‘নবপল্লি সর্বজনীনে’ আলোর সাজে ছিল বিশ্বকাপ ফুটবল। মস্কোর সেন্ট বাসিল্‌স ক্যাথিড্রালের আদলে মণ্ডপে রেশমী সুতোর কাজ। পাশেই নবপল্লি বয়েজ স্কুলের মাঠে সিকিমের চার ধাম মন্দির তৈরি করে চমকে দিয়েছিল ‘আমরা সবাই।’ মূল মন্দির ছাড়াও ছিল চারটি ছোট মন্দির। ‘নবপল্লি ব্যায়াম সমিতি’তে ১৪ হাত সালঙ্কারা মাতৃমূর্তি দেখতে ঢল নেমেছিল দর্শনার্থীর। হেলাবটতলার কাছে ‘রেজিমেন্ট’-এ উঠে এসেছে একটুকরো তাইল্যান্ড। সেখানে গির্জায় কৃষ্ণনগরের প্রতিমা রূপ এখনও চোখের সামনে ভাসছে৷ সব মিলিয়ে এবছরও কালী পুজোয় উত্তর২৪পরগনার জেলা সদর শহর বারাসত তার ঐতিহ্য বহাল রাখল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here