মৌ বিশ্বাস :দেশের সময়ঃকালীপুজো উপলক্ষে নৌকো দৌড় প্রতিযোগিতায় নামল উত্তর২৪পরগনার চাঁদা পানচিতা গ্রামবাসী।গত বছরের মতো এবারেও গ্রাম সংলগ্ন পানচিতা বাঁওড় এ নৌকো দৌড় প্রতিযোগিতা হল শুক্রবার বিকালে। এই নৌকো দৌড় প্রতিযোগিতায় দূর–দূরান্তের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৪টি নৌকো অংশগ্রহণ করেছিল। তার মধ্যে ৭টি মহিলা ও ৭টি পুরুষ দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন ৷নদীর দুই পাড়ে প্রচুর মানুষ উৎসাহ নিয়ে ভিড় জমিয়েছিলেন যার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা৷ এদিন উপস্থিত ছিলেন, অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত এ্যাথেলেটিক পি কে ব্যানার্জী, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, তৃনমূল নেতা নন্দ দুলাল বসু সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত আধিকারিকরা৷গ্রামের বাসিন্দা তথা পানচিতা বাঁওড় নৌকা দৌড় কমিটির কর্ণধার বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, এবারে নৌকো দৌড় প্রতিযোগিতা করতে কোনো টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া না গেলেও বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ পুরুষ এবং মহিলা দলের প্রতিযোগিদের জন্য,২ooo,১৫০০,১০০০মোট ৯ হাজার টাকা নগদ পুরোস্কার তুলে দেওয়ায় উৎসাহিত হয়েছেন প্রতিযোগিরা। প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন, এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ মৎস জীবি এবং পানচিতা বাঁওড় এর উপড় নির্ভরশীল আর স্থানীয় মাহিলাদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো, আগামী বছর যাতে আরও বড় করে এবং সরকারি সাহয্যে এই প্রতিযোগিতার শ্রীবৃদ্ধি হয় তার চেষ্টা করব।স্থানীয় বাসিন্দা শুভ্রা হালদার বলেন,‘‌লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে পাশে বাগদার হাদি গ্রামে নৌ বাইচ প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। গ্রামের মানুষ প্রতি বছরই সেই গ্রামে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে যেত। তার পর স্থানীয় মহিলারা ঠিক করেন পাশের গ্রামে যদি হয়, তা হলে আমরা কেন পারব না! আমাদের বিশ্বাস ছিল, চেষ্টা করলে আমরাও পারব। তার পর থেকে কালীপুজো উপলক্ষে পানচিতা বাঁওড়ে নৌকো বাইচ করে আসছি।’‌
এই নৌকো বাইচ প্রতিযোগিতার মূল উদ্যোক্তা নদী পাড় সংলগ্ন পানচিতা নৌবাইচ কমিটি। তা ছাড়াও গোটা গ্রামের মানুষ এই প্রতিযোগিতাকে সহযোগিতা করে থাকে। সমীর বিশ্বাস এর কথায়, আমাদের সীমান্তবর্তী এই গ্রামে বিনোদন বলতে পুজো পার্বণ। আর এই পুজো পার্বণে মানুষের মনকে রাঙিয়ে দিতেই আমাদের এলাকায় কালীপুজো উপলক্ষে নৌকো বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিচারকদের রায় অনুযায়ী বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার পুরস্কারের তালিকায় ছিল মেমেন্টো,এবং প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল বাবুর দেওয়া নগদ ৯ হাজার টাকা। প্রতিযোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর প্রতিযোগিতাটি যাতে আরও সুন্দর করা যায়, সেই বিষয়েও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান রক্ষায় বদ্ধ পরিকর এই গ্রামের প্রতিটি মহিলা সহ গোটা চাঁদাগ্রামের মানুষ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here