‘ট্রাভেলগ’- লিখছেন- দেবন্বিতা চক্রবর্তী,

সিমলা শহরে দিনটা বেশ ঝকঝকে থাকায় লাঞ্চের পর বেড়িয়ে পরলাম শহর ঘুরতে । প্রথমেই আমরা চলে এলাম ম্যাল রোডে ৷ ম্যাল ও রিজের সংযোগস্থলে লালা লাজপত রায় চক , মূ্র্তি ও দেখা গেল সেখানেই ৷ এই জায়গাকে কিপলিং এর স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট ও বলা হয় ৷এখানে ছোট্ট একটা গল্প আছে ৷এই খান থেকেই ভায়সরয় কিপলিং এর কন্যা অপহৃত হন ,তাই ম্যাল রোডের উচ্চতম বিন্দুটির নাম ই হল স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট। রকমারি জিনিসের দোকান গুলি বামদিকে ছাড়িয়ে নীচের দিকে নামলেই লক্করবাজার বাস টার্মিনাস ৷ ৭ টি পাহাড়ে ঘেরা সিমলা সুন্দরীর বিউটিস্পট হল ম্যাল রোড ৷ভাবতে ও অবাক লাগে যে এখানে ব্রিটিশ ভারতে নেটিভদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল ৷ যেহেতু তখন গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল তাই সেই স্মৃতিতে আজও সেখানে গাড়ি চলে না ৷ পাশেই আছে আলাসিঙ্গান ক্রাইস্ট চার্চ , যার রঞ্জিত কাঁচের জানালার বাহারে মনমুগ্ধ হতে হয় উত্তর ভারতের দিত্বীয় প্রাচীন চার্চে ৷ব্রিটিশ আমলের বাড়িগুলোতে কারূকার্যের বাহার ৷
সিমলার পরিবেশ সব সময়েই মনোরম থাকায় টুরিস্ট অতিরিক্ত বেশী থাকে ৷
এর পর আমরা চললাম সিমলার প্রধান মন্দির শ্যামলী কালী মন্দিরে ,যা বনটলি পাহাড়ে ই অবস্থিত ৷ সব ই হাঁটা দূরত্বে পরবে , আর ছিমছাম শহরে হাঁটার মজা ই আলাদা ৷সিমলা নাম নিয়ে কিছু মতবিরোধ আছে ৷ অনেকের মতেই এই শ্যামলী মায়ের নামেই সিমলার নামকরন হয়েছে ৷মন্দির কিন্তু খুবই ছিমছাম ৷ দুটো মন্দির পাশাপাশি , একটি মঙ্গলচন্ডী আর অন্যটি শ্যামলী মায়ের মন্দির , যা আনা হয়েছিল জয়পুর থেকে ৷ সিমলার একমাত্র দূর্গাপূজা ও হয় এই মন্দিরে ৷ এই সব ই দেখছিলাম মন দিয়ে হঠাৎ পাশে শুনতে পেলাম কিছু গোলমালের শব্দ ৷চকিতে মন্দিরের পাঁচিল থেকে মুখ বাড়িয়ে দৃশ্য দেখে অবাক ৷ (ক্রমশ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here