রাজ্যবাসী যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন গঙ্গার ঘাটে গিয়ে পিতৃতর্পন করার তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন সকলকে। টুইটে তিনি লেখেন, ‘‌আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জি, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত.‌.‌.‌.‌। মহালয়ার পুণ্যলগ্নে সকলকে জানাই দেবীপক্ষের শুভেচ্ছা।’‌
মহালয়ায় রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি বাংলার ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে কাজ কি করে করতে হয় তা ফের প্রমাণ করলেন তিনি। দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গিয়েছে মহালয়ার মধ্য দিয়ে। তাই রাজ্যবাসী যেন আনন্দে থাকেন, ভাল থাকেন সেই জন্যই এই বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন পূর্বপুরুষদের তিলজল দান করে থাকেন বংশধররা। সেই প্রক্রিয়াটাও যাতে আনন্দমুখর হয়ে ওঠে তাই চান মুখ্যমন্ত্রী। এই টুইট সেই অর্থেই করা হয়েছে।

সোমবার মহালয়ার ভোর দিয়েই পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গেল। যদিও কলকাতায় মহালয়ার আগে থেকেই পুজোর উদ্বোধনের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এই শুভদিনে সুরুচি সংঘের পুজো তাদের থিম সঙকে প্রকাশ্যে আনলেন। এই থিম সঙটি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন। ‘‌জয়ো মা জয়ো দুর্গা’‌ গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক তথা রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্র। এবারে সুরুচি সংঘের পুজোর থিম হল ‘‌মা এসেছেন মাটির ঘড়ে, শিউলি গন্ধ উৎসর্গ করে’‌।এদিন সুরুচিতে উপস্থিত ছিলেন আবির চ্যাটার্জি, সোহিনী সরকার, রাহুল সহ ব্যোমকেশের পুরো টিম। অরূপ বিশ্বাস, রাহুল এবং আবিরের ঢাকের তালে কোমর দোলালেন সোহিনী সহ ছবির অন্যান্য অভিনেত্রীরাও।মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‌এই পুজোতে মাটি, মা এবং উৎসর্গ এই তিনটে জিনিসই থাকবে। আমরা সব ধরনের উপকরণ দিয়েই আমাদের পুজোকে সাজিয়ে তুলেছি, তাই এবার মাটিকেই প্রধান উপকরণ হিসাবে এই পুজোতে রাখা হয়েছে। গোটা মণ্ডপ জুড়েই থাকবে মাটির কাজ।’‌ মাটির কাজের মধ্য দিয়েই মানুষের জীবনযাত্রাকে তুলে ধরবে সুরুচি সংঘের পুজো।মঞ্চে উপস্থিত রাহুল, আবির, সোহিনী ও ইন্দ্রনীল সেন। -দেশের সময়:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here