কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত বিজেপি গ্রামপ্রধান

0
1098

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃজম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের নাশকতা চলছেই। তাদের হামলার নিশানায় এবার থাকছেন বিজেপি নেতা থেকে শুরু করে গ্রামপ্রধানরা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হলেন বিজেপির গ্রামপ্রধান সাজ্জাদ আহমেদ। 

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে কুলগাম জেলার কাজিগুন্দ এলাকায় হয় এই ঘটনা। তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন কুলগাম জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি সাজ্জাদ। বাড়ির বাইরেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সাজ্জাদের গুলি লাগার পরেই জঙ্গিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

গত তিনদিনের মধ্যে এই নিয়ে দু’জন বিজেপি গ্রামপ্রধানের উপর হামলা হল। মঙ্গলবার এই কুলগাম জেলাতেই বিজেপির গ্রামপ্রধান আখরানের উপর হামলা করে জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হন আখরান। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সেই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গেল সাজ্জাদের।

পরপর এই ধরনের ঘটনায় কুলগামে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কী ভাবে বেছে বেছে বিজেপি নেতা ও গ্রামপ্রধানদের জঙ্গিরা নিশানা বানাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। নেতাদের সুরক্ষার দাবি তুলেছেন তারা। ঘটনার পরে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। নিরাপত্তারক্ষীরা টহল দেওয়া শুরু করেছেন। জঙ্গিরা ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে অবশ্য জুন মাসে অনন্তনাগ জেলার লোকভবনে নিজের বাড়ির বাইরেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন কংগ্রেসের গ্রামপ্রধান অজয় কুমার পণ্ডিত। অর্থাৎ গত কয়েক মাসে এই নিয়ে জঙ্গিদের হামলায় দু’জন গ্রামপ্রধান নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

গত ৮ জুলাই জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোড়া জেলায় বিজেপি নেতা শেখ ওয়াসিম বারি, তাঁর বাবা ও ভাইকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ওয়াসিমের বাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই সময় বাড়ির নীচে দোকানে বসেছিলেন ওয়াসিম, তাঁর বাবা ও ভাই। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাইকে করে এসে এক জঙ্গি কাছ থেকে তাঁদের গুলি করে। স্থানীয় থানা থেকে খুব বেশি হলে ১০ মিটার দূরে খুন করা হয় তিনজনকে। প্রত্যেকের মাথায় গুলি মেরে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সেই ঘটনার পরে ওই ওয়াসিমের পরিবারের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ১০ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জঙ্গিদের শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়। কিন্তু এখনও সেই ঘটনার কিনারা হয়নি। তার মধ্যেই এভাবে একের পর এক হামলা হয়েই চলেছে উপত্যকায়।

Previous articleভার্চুয়াল বক্তৃতায় আজই বিহারের ভোট প্রচার শুরু করছেন রাহুল
Next articleউৎসবের দিনগুলো দেখে লকডাউন করুন,জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here