দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় তিনি টুইট করেছেন, ‘রবীন্দ্র জয়ন্তীতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি আমার প্রণাম। প্রার্থনা করি, তাঁর স্বপ্নের ভারতবর্ষ গড়ে তুলতে তাঁর আদর্শ আমাদের উৎসাহ ও শক্তি প্রদান করবে।’

এর আগেও নানান সরকারি অনুষ্ঠান থেকে বাংলায় বার বার এসেও কবিগুরুকে স্মরণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। গত বছর বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মোদী বলেছিলেন, ‘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বনির্ভর সমাজ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি কৃষিতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, শিল্পে, সাহিত্যে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা চেয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন ভারতের ধর্মীয় জাগরণের সুবিধা পাক গোটা মানব জগত্‍‌। এই আবেগ থেকেই এসেছে স্বনির্ভর ভারতের ভাবনা। এই স্বনির্ভর ভারতের ডাক গোটা পৃথিবীর জন্যই কার্যকরী হবে।’ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে একাধিক বার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাকে উদ্ধৃত করেছেন। ভোট চলে গেলেও রবীন্দ্রনাথকে ভোলেননি তিনি।

অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। টুইটে করেছেন, ‘চির নূতনেরে দিল ডাক, পঁচিশে বৈশাখ… বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবসে শ্রদ্ধা ও প্রণাম। ওনার আদর্শই আমাদের পাথেয় হয়ে উঠুক, এই কামনা করি।’ রবীন্দ্র জয়ন্তী ভার্চুয়ালি পালন করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় পালন করা হচ্ছে এই দিনটি।

নদীয়ার সিলিন্দা সংগীত একাডেমিতে আজ সকাল ১০টায় কবি প্রণাম শুরু হয় , তারপর কবিতা , গানের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি একাডেমির সদস্যরা এদিনের অনুষ্ঠানে যোগদেন৷ সিলিন্দা বিবেকানন্দ সংঘ ও পাঠাগারের সদস্য রাজকুমার সরকার , কমল সেন এবং সংগীত একাডেমির সদস্য-সদস্যা , আর্য , রীষা , সুইটি, অষ্মী সহ গানের শিক্ষিকা সোমা দেবনাম সহ দু’জন স্থানীয় অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন ৷

আজ ক্যাথিড্রাল রোডে যাবতীয় বিধি মেনে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করবে রাজ্য সরকার। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার কারণে এই অনুষ্ঠানে এ বার মানুষের অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন, আবৃত্তি করবেন।

অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে রাজ্য সরকার। অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হতে না-পারলেও দর্শকরা যাতে বাড়ি বসে রবীন্দ্র-স্মরণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এই আয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার জানিয়েছেন, করোনার কারণে এ বার রবীন্দ্র জয়ন্তী ছোট করে পালন করতে হবে। কোথাও ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here