একই সময়ে কাঁপল ঝাড়খণ্ড-কর্নাটক

0
1119

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সাতসকালে কেঁপে উঠল কর্নাটক ও ঝাড়খণ্ড। একই সময়ে মৃদু ভূমিকম্প হয় এই দুই রাজ্যে। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর আপাতত নেই।

শুক্রবার সকালে কেঁপে ওঠে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর। জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র জানিয়েছে, ভোর ৬.৫৫-তে কম্পন অনুভূত হয় জামশেদপুরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৭।

সাম্প্রতিক কালে পরপর ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে রাজধানীতে। অঙ্কের হিসেবে দু-মাসও পুরোপুরি নয়। গুনে গুনে ৫৩ দিন। এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে এই ৫৩ দিনে ছ-বার কেঁপেছে দিল্লি-এনসিআর। সর্বশেষ ভূ-কম্পনটি হয় গত বুধবার রাত ১০টা ৪২ মিনিটে। যদিও তা মৃদু। রিখটার স্কেলে ৩.২ মাত্রার কম্পন। ভূমিকম্পের উত্‍‌পত্তিস্থল ছিল নয়ডা থেকে ১৯ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে। গভীরতা ৩.৮ কিলোমিটার।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির রেকর্ড বলছে, ছ’টি ভূমিকম্পের মধ্যে গেল ২৯ মে-র কম্পন মাত্রাই সবথেকে শক্তিশালী ছিল। যদিও রিখটারে তা মাঝারি মাত্রার কম্পন। তীব্রতা ছিল ৪.৫। গত ৫৩ দিনের মধ্যে ১২ এপ্রিলই ছিল প্রথম কম্পন। যার তীব্রতা ধরা পড়ে ৩.৫। পরদিন ১৩ এপ্রিলের কম্পন তীব্রতা ছিল ২.৭। ১০ ও ১৫ মে যথাক্রমে ৩.৪ ও ২.২ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প হয়।

পাঁচটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দিল্লি চতুর্থ সর্বোচ্চ অঞ্চলের অধীনে পড়ে। যে কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। তবে, দিল্লি নিজে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল, এটা বিরল ঘটনা। উচ্চ-ভূমিকম্প অঞ্চল হিসাবে পরিচিত মধ্য এশিয়া বা হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানলে, তার প্রভাবে দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়।

দিল্লি লাগোয়া অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত জোরালো দু’টি ভূমিকম্পের একটি হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ১০ অক্টোবর, বুলন্দশহরে। যার তীব্রতা ছিল ৬.৭। অপরটি ছিল মোরাদাবাদে, ১৯৬৬ সালের ১৫ অগস্ট। রিখটারে তীব্রতা ধরা পড়ে ৫.৮। এই দু’টি অঞ্চলই পড়ে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে।

জিওলজিস্টদের মতে বারবার ছোটখাট কম্পন আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত হতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে বড়সড় কম্পনের কবলে দিল্লি ও তার আশপাশের অঞ্চল পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির প্রধান ড. কালাচাঁদ সেন জানিয়েছেন যে রাজধানী ও তার আশপাশে ভূস্তরের নীচে যে সিসমিক অ্যাক্টিভিটি ক্রমাগত চলছে তা এই ছোটখাট কম্পনে বোঝা যাচ্ছে। এই কারণেই দিল্লিতে অদূর ভবিষ্যতে বড় কম্পনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাঁচটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দিল্লি চতুর্থ সর্বোচ্চ অঞ্চলের অধীনে পড়ে। যে কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। তবে, দিল্লি নিজে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল, এটা বিরল ঘটনা। উচ্চ-ভূমিকম্প অঞ্চল হিসাবে পরিচিত মধ্য এশিয়া বা হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানলে, তার প্রভাবে দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়৷

Previous articleপিছনে এগিয়ে যান…
Next articleকেন্দ্রের সব ঘোষণা টিভির পর্দায় থেকে যাবে মন্তব্য খাদ্যমন্ত্রীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here