দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছেন, ‌পরিযায়ী শ্রমিকেরা আগামী দু মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন পাবেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, ২০ আগস্ট থেকে দেশে চালু হবে ‘‌এক দেশ এক রেশন কার্ড’‌। অর্থাৎ বাংলায় যদি কারও রেশন কার্ড থাকে, তিনি মুম্বই বা বেঙ্গালুরু গিয়ে রেশন তুলতে পারবেন। আবার মুম্বই বা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা কেউ এখানে থাকলে তিনি এখান থেকে রেশন তুলতে পারবেন। 

বৃহস্পতিবার খাদ্যসাথী ভবনে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মন্তব্য করেন,আগামী ছ মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যাঁদের রেশন কার্ড নেই, তাঁদেরও রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকেরা রেশন পাবেন, এটা নতুন কী?‌ মুখ্যমন্ত্রীই বলেছেন, সবাই রেশন পাবেন।

খাদ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‌খাদ্যসাথী প্রকল্পে রেশন তো পাচ্ছেন সবাই। নতুন রেশন কার্ডের বিষয়ে প্রায় সাত মাস আগে আমরা কেন্দ্রকে বলে দিয়েছি, এটা সম্ভব নয়। সেই সিদ্ধান্ত বদলায়নি।’‌ তিনি বলেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী আজ যা ভাবেন, কেন্দ্র তা পরে ভাবে। ওদের সব ঘোষণা টিভির পর্দায় থেকে যাবে!‌’‌

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এদিনও রেশনের বিলিবণ্টন নিয়ে অভিযোগ তোলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌রাজ্যপাল আবার আজগুবি ও ভুল তথ্য পরিবেশন করছেন। ডাল নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন। রাজ্যপালও বলছেন। বাংলার মানুষ মসুর ও মুগডাল খান। তরকার ডাল খেতে পারেন না। মসুরডাল প্রয়োজন ৪৩,২৯০ মেট্রিক টন। কেন্দ্রীয় কো‌অপারেটিভ নাফেড মাত্র ১৩,৩৭০ মেট্রিক টন ডাল এনেছে। রাজ্যপাল খাদ্য দপ্তরের অআকখ জানেন না। ১৩ মে ২০২০ পর্যন্ত ৮ কোটি ৭৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭৫৯ জন মানুষকে চাল, আটা দেওয়া হয়েছে। (‌এ সমস্ত তথ্য আসে ই–পোস মেশিনের মাধ্যমে)‌। জুন মাসের রেশনের জন্য ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৮৭ কেজি চাল তোলা হয়েছে।

৩৯ হাজার মেট্রিক টন বাকি আছে। ১৭ জুন তোলা হবে। রাজ্যপালকে অনুরোধ, খাদ্য নিয়ে জঘন্য রাজনীতি আর করবেন না। মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।’‌ মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ডিলারকে ইতিমধ্যে শোকজ, সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের দোকান বন্ধ না করে পাশাপাশি দোকানগুলির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে, মাস্ক পরে মানুষ রেশন তুলছেন ।’‌‌‌‌‌‌‌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here