দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নিম্নচাপ-ঘূর্ণাবর্তের পালা চুকিয়ে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে রাজ্যে। শুষ্ক আবহাওয়ায় শীত শীত ভাব। রাতে তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে।

জাঁকিয়ে শীত পড়তে দেরি হলেও নভেম্বরের শুরুতে ভোরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশ কম। ফলে ভোরের দিকে হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। মর্নিং ওয়াকারদের দেখা যাচ্ছে চাদর-টুপি ব্যবহার করতে। আগামী কয়েকদিনও এমনটাই বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। স্বাভাবিকভাবেই এই আবহাওয়ায় খুশি শীতপ্রেমীরা।

তবে এর মধ্যেই ফের নিম্নচাপের বার্তা দিল আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ ঘনাতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।

জানা গেছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা আছে। ঘূর্ণাবর্ত তৈরির পরিবেশও তৈরি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ফের নিম্নচাপ ঘনিয়ে উঠতে পারে। তেমন হলে উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হতে পারে পাহাড়ি জেলাগুলিতেও।

কলকাতায় আজ সকাল থেকে পরিষ্কার আকাশ। দিনের তাপমাত্রা ৩০.২ ডিগ্রির আশপাশে, গতকাল রাতের তাপমাত্রা ছিল ২০.৮ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৫ শতাংশ। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে।

১০ নভেম্বর থেকে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ১০ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে এরপর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে।

চলতি মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ১১ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে যা পরে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আপাতত জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে, জানানো হচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। তবে তাপমাত্রার বিশেষ কোনও বদলও হবে না। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রাও ক্রমশ নিম্নমুখী। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রাও এক ধাক্কায় কমেছে অনেকটাই। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সেখানেও তাপমাত্রার বিশেষ বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।

নতুন করে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা সাইক্লোনের রূপ নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মহম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, “এই সাইক্লোন তৈরি হলে তার নাম দেওয়া হবে ‘ম্যান্দোস’, যা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। যদিও ভারতের আবহাওয়া দফতরের তরফে এখনও এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here