দেশের সময় : অবশেষে রাজ্যে প্রবেশ করল বর্ষা।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা রাজ্যে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। যার জেরে কমবে তাপমাত্রার পারদ।
কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই দফায় দফায় চলবে প্রবল বৃষ্টি। দোসর ভারী বজ্রপাত। বুধবার রাতেই বজ্রপাতে সাতজনের প্রাণ গিয়েছে । ফলে বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতায় তৎপর প্রশাসনও।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, সমস্ত বাধা কাটিয়ে অবশেষে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশে ঢুকছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। যার ফলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাতের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে।
জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে। তারপর থেকেই দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে একাধিক জেলায়। গতকাল উত্তরবঙ্গে বজ্রপাতের জেরে ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি সপ্তাহেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গের সব জেলায়। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে।
বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং। পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে ধস নামার সম্ভাবনা নীচু এলাকাগুলিতে। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জল স্তর বেশ কিছুটা বেড়ে বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়াতেও।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা নামার ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। শনিবারের মধ্যে অন্তত ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি নামবে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরে দফায় দফা. দিনভর বৃষ্টিপাত এবং মেঘলা আকাশের জেরে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
কলকাতায় বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৭ থেকে ৮৯ শতাংশ। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৫৭ থেকে ৮৯ শতাংশের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ০০০.৪ মিলিমিটার।