দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখা- এই দুই ফ্যাক্টরের কারণে ফের রাজ্যে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গে সেই তুলনায় কিছুটা কম বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তা পশ্চিম দিকে সরে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা আসতে পারে। 
মৌসুমি অক্ষরেখা রয়েছে জামশেদপুর হয়ে দিঘা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক হয়ে বঙ্গোপসাগরে।

এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। সব জেলায়  শনি এবং রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর মানে শনিবার দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বাকি জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর।

১৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া জেলাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কলকাতায় বৃষ্টি বাড়বে। ১৯ তারিখ দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।

আগামী কয়েকদিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস তো রয়েছেই। আজ, শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৭ এবং ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাল, রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কমতে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভাল বৃষ্টি হয়েছে। অতিভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতা-সহ উপকূলের জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকার কথা বলা হয়েছিল। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা ছিল বেশ কিছু জেলায়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। দেখা গিয়েছিল তা ঠিক প্রমাণিত হয়েছিল। অনেক জায়গায় বৃষ্টির কারণে জল জমে গিয়েছিল। শুক্রবার ছিল বিশ্বকর্মা পুজো। এদিন কলকাতার আকাশ ছিল মেঘলা। তবে কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টিও হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here