দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে।

বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পর সন্ধেবেলা গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। শুক্রবার আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রতর দেহরক্ষীকে।  এই মামলায় সায়গলকে একাধিকবার জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, সায়গলের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। গরু পাচার চক্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের অভিযোগ এবং এই সম্পত্তির মধ্যে কী সম্পর্ক আছে তা জানতে তাঁকে দফায় দফায় এর আগে জেরা করা ছাড়াও বৃহস্পতিবারও জেরা করা হয়েছে। বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেফতারির খবর সংবাদমাধ্যমে দেখার আগে সেহেগল নামে হয়ত অনেকেই চিনতেন না তাঁকে। তবে ডোমকলের মালিথাপাড়ায় ববিনের বাড়ি বললে একবারেই চিনিয়ে দেবেন সবাই। গ্রামের মাঝে সবুজ অট্টালিকা সবাই চেনেন। ৬ বিঘা জমির ওপর প্রাসাদোপম বাড়ি। কনস্টেবলের চাকরি করে তিনি কী ভাবে এমন বাড়ি বানালেন, সে প্রশ্ন যে কারও মনে জাগেনি তা নয়, তবে সে নিয়ে বিশেষ কৌতূহল প্রকাশ করতেন না প্রতিবেশীরা। এলাকায় সাতে-পাঁচেও খুব একটা থাকতেন না সেহেগল। শুধু চোখের সামনে তাঁর সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে উঠতে দেখেছেন তাঁরা।

গ্রেফতারির খবর সংবাদমাধ্যমে দেখার আগে সায়গলের নামে হয়ত অনেকেই চিনতেন না তাঁকে। তবে ডোমকলের মালিথাপাড়ায় ববিনের বাড়ি বললে একবারেই চিনিয়ে দেবেন সবাই। গ্রামের মাঝে সবুজ অট্টালিকা সবাই চেনেন। ৬ বিঘা জমির ওপর প্রাসাদোপম বাড়ি।

কনস্টেবলের চাকরি করে তিনি কী ভাবে এমন বাড়ি বানালেন, সে প্রশ্ন যে কারও মনে জাগেনি তা নয়, তবে সে নিয়ে বিশেষ কৌতূহল প্রকাশ করতেন না প্রতিবেশীরা। এলাকায় সাতে-পাঁচেও খুব একটা থাকতেন না সায়গল। শুধু চোখের সামনে তাঁর সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে উঠতে দেখেছেন তাঁরা।

ডোমকলে একটি নয়, মোট তিনটি বাড়ি রয়েছে সায়গলের। মালিথাপাড়ার ওই বাড়ি ছাড়াও বাজারপাড়া ও ধুলাউড়িতেও রয়েছে বাড়ি। এলাকাবাসীর দাবি, সম্প্রতি সেহেগল এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি জমি কিনে নিয়েছেন।

এক প্রতিবেশী জানান, ওই এলাকায় জমির দাম শতক প্রতি ৫-৬ লক্ষ টাকা। সায়গল যত জমি কিনেছেন, তাঁর দাম প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে বলেই জানা গিয়েছে। ৮-৯ মাস আগে সে সব জমি কেনা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে অনুব্রতর নামে জমি রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।


যাঁরা ববিন ওরফে সায়গলকে অনেক দিন ধরে চেনেন, তাঁরা জানেন বাবা মারা যাওয়ার পরই কনস্টেবলের চাকরিটা পেয়েছিলেন সায়গল। বাবার তৈরি বাড়িতেই থাকতেন তিনি। আর সেই চাকরি করতে করতেই জমি, বাড়ি সবকিছু করেছেন তিনি। কিছুদিন আগে তাঁর ওই বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তখন থেকেই এলাকার মানুষ কানাঘুষো শুনছিলেন।

আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁরা সংবাদমাধ্যমে জানতে পারেন গ্রেফতার হয়েছেন সায়গল। কী এমন করতেন যে গ্রেফতার হতে হল, সে সম্পর্কে এলাকার মানুষের বিশেষ ধারণা নেই।

বিরোধীরাও একাধিকবার দাবি করেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে প্রাচীরের কাজ করতেন সেহেগল। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির যে কোনও ব্যক্তিগত কাজেও যে সায়গলই সাক্ষী ছিলেন, সেটাও জানতেন অনেকেই। আর কানাঘুষো শোনা যায়, শুধু মুর্শিদাবাদ নয় বোলপুরেও সম্পত্তি রয়েছে সায়গলের।

রয়েছে ফ্ল্যাট, জমি। তবে প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার করতে চান না কেউ। এবার সায়গলকে গ্রেফতার করে আর কোন সূত্র সিবিআই খুঁজে পায়, সেটাই এখন দেখার।

সূত্রের খবর, গরু পাচারকাণ্ডের যিনি মূল অভিযুক্ত, সেই এনামুল হক সিবিআইয়ের কাছে যে বয়ানে জানিয়েছেন, গরু পাচারে বীরভূমকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করতে গেলে তাঁকে মোটা টাকা দিতে হত। আর সেই টাকা এই সায়গল হোসেনই নিতেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এর সপক্ষে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here