দেশের সময় কলকাতা : রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর ঠাঁই হয়েছে আপাতত প্রেসিডেন্সিতে। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপাতত কারাগারেই থাকবেন তিনি। এ দিকে, জেলে যেতেই শঙ্করের আবদার যেন আর শেষ হচ্ছে না।

সূত্রের খবর, ভাল ভাল খাবার তো তিনি দাবি করছেন। এমনকী কমোড চেয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষর কাছে।

প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, তেইশ-চুয়াল্লিশ সেল ব্লকে রাখা হয়েছে রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত শঙ্কর ওরফে ডাকুকে। সেখানে আসার পর থেকেই চাহিদার অন্ত নেই তাঁর। কিন্তু কোনও আবদারেই সাড়া দেননি কারা কর্তৃপক্ষ।

জানা যাচ্ছে, জেলের রুটি মুখে রুচচ্ছে না শঙ্করের। তিনি চেয়েছেন, বাড়িতে বানানো রুটি, তরকারি। চেয়েছেন মাছ-মাংসও। আবদার কিন্তু এখানেই শেষ নয়, ডাকু আবার দাবি করছেন ঝকঝকে কমোডও। তবে এত চাহিদায় অবশ্য মন গলেনি জেলের দায়িত্ব প্রাপ্তদের। সব আবদারেই কার্যত ‘না’ শুনতে হচ্ছে তাঁকে। সূত্রের খবর, যেহেতু তিনি ‘হাইপ্রোফাইল’ বন্দি। সেই কারণে তাঁর সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই বাড়তি নজরদারি রয়েছে শঙ্করের সেলে। বসানো হয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরাও।

তবে শঙ্কর একা নন, এর আগে কিন্তু তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও জেলে গিয়ে একই আবেদন করেছিলেন। শোয়ার জন্য বালিশ-খাট-চাদর সব চেয়েছিলেন। সেই সময়ও জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর আবদার নাকচ করে দিয়েছিলেন। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন শঙ্করও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শনিবার শঙ্কর আঢ্যের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন নগর দায়রা আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগ, দশ বছরে শঙ্কর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে হাজার কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তিত করা হয়েছে।

এসআর আঢ্যর ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে এই বদল হয়েছে বলে তদন্তে পেয়েছে ইডি। এই সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর সিএ-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেও এই বদল সম্পর্কে জানতে পারে ইডি।

সূত্রের খবর, আঢ্যর ফোরেক্স-সহ চারটি কোম্পানির মাধ্যমে তাঁর সিএ অরবিন্দ সিং ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় কনভার্ট করেন। আরও ১১৭ কোটি কনভার্ট করা হয় হীরামোতি এক্সপোর্ট নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে। তাঁকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারী অফিসাররা। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here