অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: আগামী ১ জুলাই থেকে ভক্তদের দর্শন দেবেন জগন্নাথ। এর জন্য ভগবান জগন্নাথ, তাঁর বোন সুভদ্রা এবং বড় ভাই বলরামকে নিয়ে রথে চড়বেন। জগন্নাথের দ্বাদশ মহোৎসবের মধ্যে রথযাত্রাই সবথেকে বড়।
ওডিশাসহ গোটা ভারত থেকেই ভক্তরা এই সময় পুরীতে যেমন যান তেমনই কলকাতা ও মায়াপুর ইস্কন মন্দিরের রথেও ভিড় করেন ভক্তরা৷গত দু’ বছর রথ টানা বন্ধ থাকলেও এ বছর করোনা আবহ কাটিয়ে ঐতিহ্যবাহী পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাচীন মহিষাদল রাজ পরিবারের রথযাত্রা টানা হবে আগের মতোই । সেই লক্ষ্যেই মহিষাদলের রথ সড়ক দখল মুক্ত করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন । শুরু হয়েছে মাইকে প্রচার । বাদ যায়নি সীমান্ত শহর বনগাঁও এখানেও জোড় কদমে চলছে রথযাত্রার প্রস্তুতি ৷ দেখুন ভিডিও:
প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্ম হয়েছিল। তাই অনেকের মতে, এটাই জগন্নাথের জন্মদিন। ভক্তরা এও বিশ্বাস করেন যে, এইদিনে জগন্নাথ দর্শন করলে জীবনের সব পাপ ধুয়ে যায়। তাই রথযাত্রায় প্রতিবছরই লাখো লাখো পুণ্যার্থীর ভিড় হয় দেশ জুড়ে ৷
জগন্নাথের রথযাত্রা দেশের অনেক জায়গায় ধুমধাম করে পালন করা হয়। তবে, ওডিশার পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার খ্যাতি ভারত-সহ গোটা বিশ্বে রয়েছে। যে রথযাত্রার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
পুরীর রথযাত্রার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় স্নানযাত্রার দিন। আর তারপর থেকেই বহুকালের নিয়ম মেনে তিনটি আলাদা আলাদা রথ নির্মাণ করা হচ্ছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য। বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় এই তিনটি রথ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিডের দুই বছর পর এবার আবার ভক্তকুলের সামনে আসতে চলেছেন জগন্নাথ। তাই পুরী সহ বাংলা জুড়ে এবছর সাজসাজ রব। আষাঢ় মাস পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে রথযাত্রার আয়োজন। এবার বিধিনিষেধ না থাকায় রথযাত্রার দিনে পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়বে বলেই ধারনা৷ তাই সেই মত প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসনও৷