‘লেট দ্য ফেস্টিভ রিদমস এমব্রেসড এভরিওয়ান’! স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বার্তা! আজ, রবিবার সকালেই এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেছেন–নবরাত্রি আসছে, আর আমি খুবই খুশি যে, আমি গত কয়েক সপ্তাহে লেখা একটি গার্বা আমি শেয়ার করতে পারছি। 

দেশের সময় : দেশ চালানোর পাশাপাশি কলম চালাতেও যে তিনি সমান দড়, তার প্রমাণ মহালয়ার দিনেই পেয়েছিল দেশবাসী। শনিবারই মুক্তি পেয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা গানের একটি মিউজিক ভিডিও। তারপর রবিবার নবরাত্রির শুরুতে ফের মুক্তি পেল তাঁর রচিত আরও একটি গান ‘মাদি’। 

এই গরবা গানে সুর দিয়েছে মিট ব্রাদার্স, গায়িকা দিব্যা কুমার। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন গানের ভিডিও। জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই গানটি লিখেছেন তিনি।

গুজরাতি ভাষায় লেখা এবং গাওয়া এই গানটি ৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের। ভিডিওতে রঙিন পোশাক পরা মানুষজনকে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা গরবা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন। কেউ আবার ডান্ডিয়া নাচছেন। ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে দেখা যাচ্ছে ভাদোদরায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি, যা কিনা স্ট্যাচু অফ ইউনিটি নামে পরিচিত। 

মহালয়ার দিনেই মুক্তি পেয়েছিল মোদীর লেখা প্রথম গান। তনিষ্ক বাগচীর সুরে ধ্বনি ভানুশালী গিয়েছিলেন ‘গরবো’ গানটি। জাস্ট মিউজিকের ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল সেই ভিডিও, ইউটিউবে যার ভিউ মাত্র ৬ ঘণ্টাতেই ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে নয়া ভূমিকায় দেখে কার্যত সকলেই অবাক। 

গার্বা বা গার্বো গুজরাটের খুব প্রাচীন সংস্কৃতি। নবরাত্রি পালনের সঙ্গে এটি যুক্ত। প্রধানমন্ত্রীও তাঁর পোস্টে নবরাত্রির উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই পোস্টেই প্রধানমন্ত্রী মিউজিক্যাল ডুও মনমিত ও হরমিত সিংকে–যাঁরা ‘মিটব্রস’ নামে পরিচিত–এবং সংগীতশিল্পী দিব্য কুমারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৷

গতকালই জানা গিয়েছিল, নবরাত্রির গান লিখেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তনিষ্ক বাগচী এবং ধ্বনি ভানুশালীর জন্য গীতিকার হলেন তিনি। খবরটি এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ওই গানটিও ছিল ‘গার্বো’ বা ‘গার্বা’। গতকাল শনিবার গানটি প্রকাশিত হয়েছে। কঙ্গনা রানাউত জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর গান লেখার এই বিষয়টি দারুণ ‘ইনস্পায়ারিং’।

বস্তুত সঙ্গীত কিংবা লেখালিখির জগতে এই প্রথম হাতেখড়ি হল প্রধানমন্ত্রীর। এ ব্যাপারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও পরিচিত নাম। তাঁর লেখা গান, কবিতা, ছড়া বেশ জনপ্রিয়। কলমের পাশাপাশি রং-তুলিতেও সমান দক্ষ তিনি। বিপুল টাকায় মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি বিক্রি হয়েছে, যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এবার সেই জুতোতেই যেন পা গলালেন মোদী। তাহলে কি রাজনীতির দ্বৈরথ শুধু সেটুকুতেই আটকে থাকবে, নাকি এবার ‘এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি’তেও হবে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর? সেটাই এখন দেখার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here