দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন কর্নাটকে (Karnataka Assembly Election 2023)। তার আগে উন্নয়নের ডালি হাতে এই দক্ষিণী রাজ্যে হাজির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷

রবিবার ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে কর্নাটকে পা রাখেন নমো। বেঙ্গালুরু-মহীশূর এক্সপ্রেসওয়ের (Bengaluru-Mysore Expressway) উদ্বোধনের পাশাপাশি একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তিনি। ভোটমুখী কর্নাটককে উন্নয়ন দিয়ে ভরিয়ে দিলেন মোদী। এর পাশাপাশি কর্নাটকের ভূম থেকেই কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন তিনি। পাশাপাশি, কেন্দ্রের উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরলেন তিনি।

রবিবার বেঙ্গালুরু-মহীশূর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মোদীর কবর খোঁড়ার স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস। আর আমি এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করে বেড়াচ্ছি।”

এর পাশাপাশি কংগ্রেস আমলে কর্নাটক কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হোত বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। “২০১৪-র আগে গরীবদের ধ্বংস করতে কংগ্রেস সরকার চেষ্টার ত্রুটি করেনি। গরীবদের টাকা লুঠ করেছে কংগ্রেস।” এদিনের অনুষ্ঠানে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

এছাড়া গত ৯ বছরে কর্নাটকে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তারও তথ্য দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “কেন্দ্রে BJP সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গোটা দেশে মোট ৩ কোটি গরীবকে পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকে এই ঘর পেয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।”
অন্যদিকে ‘জল জীবন মিশন’-র উপকারিতাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। “বর্তমানে এই মিশনের আওতাভুক্ত কর্নাটকের ৪০ লাখ পরিবার ট্যাপের জলের সুবিধা পাচ্ছেন।” এদিন বলেন নমো।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই শেষ হচ্ছে কর্নাটক বিধানসভার মেয়াদ। আগামী দু’মাসের মধ্যেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে। তার আগে এই নিয়ে গত দু’মাস পঞ্চমবার কর্নাটক সফরে গেলেন

এদিন যে বেঙ্গালুরু-মহীশূর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করা হয়, তার দৈর্ঘ্য ১১৮ কিলোমিটার। এই রাস্তা ধরে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে যোগাযোগ করা যাবে।

এছাড়াও এই এক্সপ্রেসওয়ের জেরে কর্নাটক থেকে দক্ষিণের আরও দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও কেরলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে মোদীর সফরের মধ্যেই এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দল JD(S)। এই নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করেছেন তাঁরা।

JD(S)-র দাবি, ১৯৮৩-তে বেঙ্গালুরু-মহীশূর সড়কপথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৩ জন পড়ুয়া। বেহাল রাস্তার কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় প্রশাসন।
এর পরই ওই এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির পরিকল্পনা করেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী দেবগৌড়া। চার লেনের রাস্তা তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি, বিবৃতিতে দাবি করেছে JD(S)।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অবশ্য দাবি, ভোটের আগে এই প্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ায় নির্বাচনে কিছুটা সুবিধা পেতে পারে BJP। উল্লেখ্য, মান্ডিয়া এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ে।

কর্নাটকের এই মান্ডিয়া এলাকার ভোটারদের একটি বড় অংশই ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের। এই জেলায় একজনই মাত্র পদ্ম বিধায়ক রয়েছেন। তাঁর নাম কেসি নারায়ণগৌড়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here