Photo Story ছবির গল্প:
আগের রাতে বৃষ্টি হ’ল। সকালে যখন বনগাঁ হাইস্কুল মাঠে গেলাম, মাটি ভিজে নরম হয়ে রয়েছে। কিন্তু আকাশে সূর্য কড়া।
আমগাছতলায় সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে গান হ’ল। কবিতা, কথাও। গাছ আমরা ফুলেরই সব যোগাড় করেছিলাম। অমলতাস, জারুল, করৌঞ্জ, ফাগুন বউ আর আনন্দী। শেষের দুটো বিদেশী গাছ।
টেবেবুইয়া অওরা আর টেবেবুইয়া রোসিয়া। বিভাসদাকে এই গাছদুটোর নামকরণ করতে বলেছিলাম। বিভাসদা বললো, দাঁড়াও দাঁড়াও, আমি এই হলুদ ফুলটা শান্তিনিকেতনে দেখেছি। আমার কাছে ছবিও তোলা আছে।
কবিগুরু সারা দুনিয়ার গাছ এনে আশ্রমে লাগিয়েছিলেন। নিশ্চয়ই নামকরণও করেছিলেন। একটু পরে শান্তিনিকেতন থেকে জেনে বললো, ফাগুন বউ নাম রেখেছিলেন কবি। আর একটা গাছের নাম বিভাসদা দিল আনন্দী।
আমাদের তখন কি আনন্দ! একটা একটা করে গাছের গোড়া নেমে যাচ্ছে মাটির তলায়। গীটার বাজছে। গান গাইছে কেউ কেউ। মায়াময় সব মানুষদের হাতে রোপিত হচ্ছে আগামী দিনের তাজা ফুলের ঠিকানা। ঠিক তখনই বৃষ্টি নামলো। সন্ধ্যেবেলায় যখন বাড়ি ফিরলাম ততক্ষণে আঠাশটি গাছ লাগানো হয়ে গেছে। রোপণ করেছে মানুষ, জল দিয়েছে আকাশ।