দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ব্রিটিশ জমানার ঝুলন্ত সেতু ভেঙে গুজরাতের মোরবিতে এখনও পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, সামরিক বাহিনী, নৌসেনা, বায়ুসেনা এখনও নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান ও উদ্ধার অভিযান জারি রেখেছে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনার মুহূর্তে প্রায় ৪০০ জনের বেশি সেতুতে উপস্থিত ছিলেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।

রবিবার যেখানে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়েছিল, মঙ্গলবার দুপুরে সেই জায়গায় পরিদর্শন করে দেখেন প্রধানমন্ত্রী৷ তার সঙ্গে ছিলেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হরিশ সাংভি৷

গত কয়েকদিন গুজরাতেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ এ দিন বিকেলে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী৷ এখনও মাচ্ছু নদীতে চলছে উদ্ধারকাজ৷ কী কারণে সেতু ছিঁড়ে পড়ল, ইঞ্জিনিয়ার এবং গুজরাত সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তাও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ দৃশ্যতই বিচলিত লাগছিল তাঁকে৷

রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ছ’ মাস বন্ধ ছিল মোরবি এই সেতু৷ তার পরে সেতু উদ্বোধনের মাত্র চার দিনের মধ্যে ছিঁড়ে যায় এই ঝুলন্ত সেতু৷ সেতু বিপর্যয়ের এই ঘটনার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে৷

জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় ফিট সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুর উদ্বোধন হয়েছিল৷ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি সংস্থার উপরে দায়িত্ব দিয়েই দায় সেরেছিল গুজরাত সরকার৷ সেতুতে একশো মানুষের ভার বহন ক্ষমতা থাকলেও দুর্ঘটনার সময় সেখানে প্রায় ৪০০ মানুষ ছিলেন বলে অভিযোগ৷

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি মোরবির সিভিল হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীনদেরও দেখতে যান৷ যদিও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আসার আগে রাতারাতি হাসপাতালের ভোল বদলে দেওয়া হয়েছে৷ হাসপাতালে পড়েছে নতুন রংয়ের প্রলেপ, বসানো হয়েছে নতুন টাইলস, আনা হয়েছে নতুন বেড, ওয়াটার পিউরিফায়ার৷

গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ভয়াবহ বিপর্যয় বিজেপি-কে অনেকটাই চাপে ফেলে দিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে উচ্চপদস্থ কমিটি গঠন করেছে গুজরাত সরকার৷ গাফিলতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here