দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী তিনদিনের ঠাসা কর্মসূচি সাজিয়ে আজ গোয়ায় পা রাখতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৈকত রাজ্যে মমতা কী বলেন, কাদের সঙ্গে দেখা করেন তা বুঝতে চোখ রাখবে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। বাগডোগরা থেকে বিকেলের বিমানে পানাজি পৌঁছবেন মমতা।

ইতিমধ্যেই বিরোধীরা তাঁর এই সফরকে রাজনৈতিক পর্যটন বলে খোঁচা দিচ্ছে। কিন্তু যেভাবে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে তৃণমূলের সখ্য বাড়ছে, যেভাবে গোয়ার বিশিষ্টজনেরা তৃণমূলের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন, সর্বোপরি তৃণমূলের যে তৎপরতা তাতে এটুকু বলা চলে ২০১২ সালের মতো গোয়া তৃণমূলকে এবার খালি হাতে ফেরাবে না। আর তা সুনিশ্চিত করতেই পা রাখছেন তৃণমূল নেত্রী।

আগামী তিনদিন গোয়ার বহু এলাকা পায়ে হেঁটে ঘুরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করবেন গোয়ার বহু রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। সূত্রের খবর,  একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে গোয়ায় তৃণমূলের তরফে। চা চক্র থেকে মধ্যাহ্নভোজ দফায় দফায় বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী কাদের সাথে দেখা করেন তাই নিয়েই তুমুল আগ্রহ রাজনৈতিক মহলে।

কলকাতায় তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন গোয়ান ফুটবলার অ্যালভিটো। তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জোর জল্পনা রয়েছে। লাকি আলি, নাফিসা আলি, রেমো ডিসুজারা তাঁর উপস্থিতিতে তৃণমূল শিবিরে চলে আসেন কিনা জল্পনা তা নিয়েও। এই সফরের মধ্যেই অভিনেত্রী বর্ষা উসগাঁওকর তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল নেত্রীর গোয়া সফরের আগেই সেখানে পা পড়েছে প্রশান্তকিশোরের। গিয়েছেন তাঁর দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও। ফলে এই তিনদিনে বহু সম্ভাবনাই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

এখন প্রশ্ন হলো, গোয়া দখলে হঠাৎ তৃণমূল এত মরিয়া কেন? মাত্র ১৪ লক্ষের কিছু বেশি জনসংখ্যার এই রাজ্যে ঠাঁই তৈরি করতে তৃণমূলের এত তৎপরতাই বা কেন! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, অভীপ্সার পিছনে উদ্দেশ্য একটাই, বিজেপির দুর্গে হানাদারি। তাছাড়া ইতিপূর্বে তৃণমূল কখনও এতদূর ক্ষমতা বিস্তারের পরিকল্পনা করেনি। গোয়ার মত রাজ্যে ভালো ফল একটি প্রতীকী উদাহরণ তৈরি করতে পারে। নিজেদের সর্বভারতীয় ইমেজ তৈরিকরতে যা তৃণমূলের একান্তই দরকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here