দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েক দিন ধরেই জঙ্গলমহল হটস্পট হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের প্রচারের জন্য। আজ, বুধবার পুরুলিয়ায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সকাল ১১টা নাগাদ অণ্ডালের বিমানবন্দরে পৌঁছন মোদী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে চলে যান পুরুলিয়া।

সেখান থেকে তাঁর বক্তৃতার লাইভ ।


নমস্কার। আপনারা কেমন আছেন? আমি জঙ্গলমহলের এই রাঙামাটিতে পা রেখে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি।
নিবারণচন্দ্র, লাবণ্ঠপ্রভা ঘোষ, বীরসা মুন্ডাকে শ্রদ্ধা জানাই।
পুরুলিয়ায় জলসঙ্কট অনেক বড় সমস্যা। চাষবাসে পরিমাণ মতো জল মেলে না।

দেখুন ভিডিও:

এখানে শুধু ভেদাভেেদের রাজনীতি করেছে তৃণমূল। ওরা নিজেদের খেলাতেই মত্ত। আগে বাম, এখন তৃণমূল সরকার কিছু করেনি। পুরুলিয়ার মানুষ জবাব চায় দিদি।
৮ বছর পরও পুরুলিয়ায় জলপ্রকল্প হয়নি, এর জবাব কে দেবে দিদি। কাজের হিসেব দিন দিদি।
বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে।
একটাও সেতু হয়নি পুরুলিয়ায়।
দোসরা মে-র পর বিজেপি সরকার হলে এমন ব্যবস্থা হবে যে স্থানীয় লোকজন এলাকা ছেড়ে চলে যেত বাধ্য হবেন না।
নিজের স্বার্থে মাওবাদী হিংসায় মদত দিয়েছে তৃণমূল। বাঙালিরা বলছে, অত্যাচার অনেক করেছো দিদি। রুখে দাঁড়াবে মানুষ। মা দুর্গার আশীর্বাদ তোমায় করবে পরাস্ত। এবারের ভোটে সিন্ডিকেট, কাটমানি, তোলাবাজির পরাজয় হবে।

টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল।
দিদি বলে, খেলা হবে, বিজেপি বলে, বিকাশ হবে। বিজেপি বলে শিক্ষা হবে। মহিলাদের উত্থান হবে। বিজেপি বলে, যুবশক্তির সম্পূর্ণ বিকাশ হবে। বিজেপি বলে, চাকরি হবে। পরিষ্কার জল হবে। গ্রামে গ্রামে হাসপাতাল হবে। স্কুল হবে। দিদি, ও দিদি। ১০ বছরে বাংলার ভাইবোনদের চিন্তার খেলা খেলেছেন, এবার তার অবসান হবে।


এবার খেলা শেষ হবে।
১০ বছরের দুর্নীতির সাজা হবে এই নির্বাচনে।
পুলওয়ামা হামলার সময় আপনি কাদের সঙ্গে ছিলেন, সেটা মানুষ জানে।
বাটলা হাউস এনকাউন্টার নিয়ে সম্প্রতি আদালত চক্রান্ত উন্মোচন করেছে। অপরাধীকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত। কিন্তু মমতা তখন এনকাউন্টার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর মূল কারণ তুষ্টিকরণ।

লোকসভা ভোটে টিএমসি হাফ, এবার পুরো সাফ।
দিদির চোট লেগেছে, আমারও চিন্তা হয়। ভগবানকে প্রার্থনা করি, আপনি দ্রুত সুস্থ হোন।
দলিত, আদিবাসী, বনবাসীদের কখনও নিজের বলে ভাবেননি মমতা। কেন্দ্র থেকে সস্তায় চাল যায়, করোনাকালে পাঠানো হয়েছিল, সেটাও লুঠ করেছে দিদির লোকেরা।

দেশের সেনাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন দিদি।
দিদি আমার ওপর রাগ দেখাচ্ছেন। দিদিও ভারতের মেয়ে, তার প্রতি শ্রদ্ধা আছে আমার।
অনুপ্রবেশের পিছনে তোষণের রাজনীতি আছে, ১০ বছর ধরে তোষণের রাজনীতি চলছে।
টিএমসি মানে ট্রান্সফার মাই কমিশন। কেন আয়ুষ্মান চালু হয়নি, কারণ কমিশন।
দিদি, চাল চুরির খেলা চলতে থাকুক। আমরা চাই, খেলা শেষ হোক। চুরির খেলা চলবে না।
পিছিয়ে পড়া মানুষকে সঙ্গে নেননি দিদি।
কেন্দ্রের ডিটিবি, মানে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার আর টিএমসি মানে ট্রান্সফার মাই কমিশন।
দিদির সরকারের বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।

অপরাধ হয়, অপরাধী আছে। কিন্তু জেলে নেই। বিজেপি কার্যকর্তাদের নিশানা করছে টিএমসি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আইনের শাসন আসবে।

২ মে দিদি যাচ্ছে। আসল পরিবর্তন আসছে। পশ্চিমবাংলার মানুষের জয়। এবার ভয় নয়, শুধু জয়।
বন্দে মাতরম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here