দেশের সময়: আজ নবান্নে আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। কিন্তু কী নিয়ে তাঁদের আলোচনা হবে? জোট নাকি অন্য কোনও ইস্যু? এনিয়েই এখন চর্চা তুঙ্গে। আগামী ২৭ তারিখ দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে দু’দিন আগেই যাচ্ছেন মমতা।

নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, তাঁকে বলতে দেওয়া হয় না। সারাদিন বসিয়ে রাখা হয়। সূর্য অস্ত গেলে তারপর তাঁকে বলতে দেওয়া হয়। এভাবে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পরও যে তিনি ওই বৈঠকে যাচ্ছেন, সেটাও অবশ্য জানিয়েছেন মমতা। বৈঠকের দু’দিন আগেই দিল্লিতে পৌঁছে যাওয়ার কারণ, মমতা অ-বিজেপি দলগুলির নেতানেত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিরোধী জোট নিয়েই ওই বৈঠক হবে। কিন্তু মমতা যখন দু’দিন বাদেই দিল্লি যাচ্ছেন, তা হলে সেখানেই তো বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারতেন কেজরিওয়াল। তার আগে তাঁকে কলকাতায় আসতে হচ্ছে কেন?

ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দিল্লির আমলাদের করায়ত্ত করতে চেয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টি রাজ্যসভায় বিল আকারে পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। এরই প্রতিবাদে রাজ্যসভায় সব বিরোধী পক্ষকে পাশে পেতে চাইছেন কেজরিওয়াল। মূলত সে ব্যাপারেই মমতার সঙ্গে কথা বলতে আসছেন তিনি। তবে তার মধ্যে জোট নিয়েও কিছু কথা হতে পারে। তবে দিল্লির সরকারের পাশে অ-বিজেপি দলগুলির নেতানেত্রীরা কীভাবে দাঁড়াচ্ছেন, কতটা এগিয়ে আসছেন, তা দেখেই জোটের শিবিরে নাম লেখাতে চান কেজরিওয়াল।

পাশাপাশি জোট নিয়ে কংগ্রেসের প্রতি তাঁরও খানিকটা অ্যালার্জি রয়েছে, এটাও হয়তো কেজরির কাছে এদিন স্পষ্ট করে দিতে পারেন মমতা। কারণ, রাহুলের নেতৃত্ব মেনে মমতা আদৌও জোটে কতটা সক্রিয় থাকবেন, তা নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অবশ্য বার্তা দিয়েছেন, মমতাকে মধ্যমণি করেই তাঁরা জোটের প্রথম বৈঠকে মিলিত হতে চান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের তরফে সোনিয়া বা রাহুল কেউই মমতাকে জোটের প্রশ্নে কোনও বার্তা দেননি। মমতা তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সাতদিন হয়ে গেল। তিনি বলে দিয়েছেন, যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানে তাঁকে জায়গা ছাড়তে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করা বন্ধ করতে হবে কংগ্রেসকে। তারপরও কংগ্রেস হাইকমান্ড মুখ খোলেনি। বরং কংগ্রেসের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব চাইলে সেখানে জোট হবে। অর্থাৎ অধীর চৌধুরী যদি চান তবেই এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করবে কংগ্রেস। আর তাই যদি হয়, তা হলে ধরে নেওয়াই যায়, নীতীশ কুমার, শারদ পাওয়াররা যতই চান না কেন, পশ্চিমবঙ্গে জোট হচ্ছে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here