পিয়ালী মুখার্জী, দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : ধনতেরাস বা ধনত্রয়োদশীর পরই চতুর্দশী। কালীপুজোর এই আগের রাত হল ভূত চতুর্দশী। এর সঙ্গে যদিও ভূতেদের কোনও যোগ নেই। ভূত মানে অতীতের যোগ রয়েছে। এই দিনটি পূর্বপুরুষকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তাঁদের উদ্দেশেই জ্বালানো হয় ১৪টি প্রদীপ।

বাঙালিদের বেশিরভাগই খান ১৪টি শাক।  পুরাণে বলা হয়েছে, এদিন কিছু ক্ষণের জন্য স্বর্গ ও নরকের দ্বার খোলা থাকে। এ সময় বিদেহী আত্মা ও স্বর্গত আত্মারা মর্ত্যে নেমে আসেন। এ সময় ভূত–প্রেত নিয়ে মর্ত্যে আসেন রাজা বলি। স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতালের অধীশ্বর ছিলেন রাজা বলি। শিবভক্ত ছিলেন রাজা। বিষ্ণুর আরাধনা করতেন না। বলির পরাক্রমে অতিষ্ট দেবতারা বিষ্ণুর শরণে যান। 

বামন আবতারে বলির কাছে যান বিষ্ণু। তিন পদ জমি চান। এক পা রাখেন স্বর্গ, এক পা মর্ত্যে। নাভি থেকে তাঁর তৃতীয় পা বেরিয়ে আসে। সেই পা রাখার জন্য নিজের মাথা পেতে দেন বলি। ক্রমেই পাতালে প্রবেশ ঘটে দৈত্যরাজ বলির। বলির দানবীর স্বভাবে খুশি হয়ে বিষ্ণু আশীর্বাদ দেন যে, তিনি ও তাঁর সঙ্গিরা পৃথিবীতে পুজো পাবেন। ভূত চতুর্দশীর দিন বলি ও তাঁর সঙ্গিরা নাকি পুজো নিতে পৃথিবীতে আসেন।

• কেন খাওয়া হয় ১৪ শাক?‌  এই দিনে ১৪টি শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। সেগুলো হল ওল, কেও, বেতো কালকাসুন্দা, নিম, সরষে শালিঞ্চা বা শাঞ্চে, জয়ন্তী, গুলঞ্চ, পলতা, ঘেঁটু বা ভাঁট, হিঞ্চে, শুষনি, শেলু শাক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আবার অন্য ১৪টি শাকের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হল পালং শাক, লাল শাক, শুষনি, পাট শাক, ধনে, পুঁই, কুমড়ো, গিমে, মূলো, কলমি, সরষে, নোটে, মেথি, লাউ বা হিঞ্চে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, এই শাকগুলো রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। মূলত সে কারণেই এই দিনে এই শাকগুলো খাওয়া হয়। মনে রাখতে হবে, এটা ঋতু পরিবর্তনেরও সময়।

• কেন জ্বালানো হয় ১৪টি প্রদীপ?‌ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এই চতুর্দশীর রাতে ১৪ প্রদীপ জ্বালালে অন্ধকার, দুষ্ট আত্মা দূর হয়ে যায়। অন্য একটি ধারণা হল, এই রাতেই বলি ও তাঁর সঙ্গিরা পৃথিবীতে আসেন। তাঁরা যাতে অন্ধকারে ভুল করে কোনও বাড়িতে ঢুকে না পড়েন, তাই জ্বালানো হয় প্রদীপ।  আবার কেউ কেউ বলেন, পিতৃপক্ষের সময় পিতৃপুরুষদের মর্ত্যে আগমন হয়। তার পর এই চতুর্দশী তিথিতেই শুরু হয় তাঁদের ফেরার পালা। সে সময় অন্ধকারে পথ দেখানোর জন্য ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। 

পুরাণ মতে বলা হয়েছে , প্রতি বছর এই দিনটি কিছু ক্ষণের জন্য স্বর্গ ও নরকের দ্বার খোলা থাকে। পিতৃ পক্ষে যাঁরা মর্তে আসেন এই দিন নাকি তাঁদের ফিরে যাবার দিন। তাই তাঁদের পথ দেখানোর উদেশ্যে এই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। এ সময় ভূত – প্রেত নিয়ে মর্ত্যে আসেন রাজা বলি। স্বর্গ , মর্ত্য ও পাতালের অধীশ্বর ছিলেন রাজা বলি। শিবভক্ত ছিলেন রাজা। বিষ্ণুর আরাধনা করতেন না। বলির পরাক্রমে অতিষ্ট দেবতারা বিষ্ণুর শরণে যান।
বামন আবতারে বলির কাছে যান বিষ্ণু। তিন পদ জমি চান। এক পা রাখেন স্বর্গ , এক পা মর্ত্যে। নাভি থেকে তাঁর তৃতীয় পা বেরিয়ে আসে। সেই পা রাখার জন্য নিজের মাথা পেতে দেন বলি। ক্রমেই পাতালে প্রবেশ ঘটে দৈত্যরাজ বলির। বলির উদার স্বভাবে খুশি হয়ে বিষ্ণু আশীর্বাদ দেন যে , তিনি ও তাঁর সঙ্গিরা পৃথিবীতে পুজো পাবেন। ভূত চতুর্দশীর দিন বলি ও তাঁর সঙ্গিরা নাকি পুজো নিতে পৃথিবীতে আসেন।

চতুর্দশী র দিন কেন খাওয়া হয় ১৪ শাক ? কথিত আছে ‌পূর্বপুরুষরা মৃত্যুর পর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এই পঞ্চভূত বলতে বোঝায় মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি এবং আকাশ। (ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুত, ব্যম) সেই পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পেতে তাঁদের উদ্দেশ্যে মাটি থেকে ১৪ রকমের শাক তুলতে হয়। এই শাক খেলে অতৃপ্ত আত্মার রোষানল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শাস্ত্র মতে এই দিনে ১৪টি শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। সেগুলো হল ওল , কেও , বেতো কালকাসুন্দা , নিম , সরষে শালিঞ্চা বা শাঞ্চে , জয়ন্তী , গুলঞ্চ , পলতা , ঘেঁটু বা ভাঁট , হিঞ্চে , শুষনি , শেলু শাক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ও আবার অন্য ১৪টি শাকের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হল পালং শাক , লাল শাক , শুষনি , পাট শাক , ধনে , পুঁই , কুমড়ো , গিমে , মূলো , কলমি , সরষে , নোটে , মেথি , লাউ বা হিঞ্চে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে , শীত কালে এই শাকগুলো রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। মূলত সে কারণেই এই দিনে এই শাকগুলো খাওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here