দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসের আগে উরির দাঁচে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হল জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির সেনা ক্যাম্পে ৷ সূত্রের খবর, সেনা ক্য়াম্পে ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। শহিদ হন তিন সেনা জওয়ান। সেনা বাহিনীর পাল্টা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় দুই জঙ্গি। ঘটনায় পাঁচ জওয়ান গুরুতর জখম বলে জানা গেছে।


বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সেনা ছাউনিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। কাশ্মীর পুলিশ জানাচ্ছে, কাঁটাতার পেরিয়ে সেনা ক্যাম্পে ঢোকার চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। তাদের মধ্যে দু’জন আত্মঘাতী হামলা চালায়। আরও দু’জনকে খতম করে সেনাবাহিনী। ঘটনায় তিন জওয়ান শহিদ হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এবার সেনাঘাঁটিতেই আত্মঘাতী হামলা চালাল জঙ্গিরা। উসকে দিল পাঠানকোটের স্মৃতি। বৃহস্পতিবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে একটি সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। শহিদ হয়েছেন তিন জওয়ানও। কমপক্ষে ৫ জন জওয়ান আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। 

সেনা সূত্র জানাচ্ছে, রাজৌরির পারগলে ১১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ওই সেনা ছাউনি থেকে যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করা হয়। ওই সেনা ঘাঁটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । পরিকল্পনামাফিকই সেখানে হামলা চালানো হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। ওই ক্যাম্পে আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। স্থানীয় থানা থেকে পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

কাশ্মীরের রজৌরি শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পরগল এলাকার একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে আচমকা ঢুকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। কিছুক্ষণ ধরে সংঘর্ষ চলার পর প্রাণ হারান ৩ জওয়ান। এই ঘটনার পরেই এক সেনা কর্তা বলেন, সংঘর্ষের পরেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। আশেপাশের এলাকায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন তারা। 

এর আগে বুধবার, বুদগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে তিন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) জঙ্গি নিহত হয়। গত মে মাসে কাশ্মীরি পণ্ডিত কর্মচারী রাহুল ভাট হত্যার সঙ্গেও লতিফ রাথার জড়িত ছিল। পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। 

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গত কয়েকদিন ধরেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছে উপত্যকাকে। এর মধ্যে চলছে জঙ্গি দমন অভিযানও। বুধবার বদগামে ৩ লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা। 
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, কাশ্মীর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছিল উপত্যকার অনেক জঙ্গিই। পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে সাধারণ জীবনযাপন করছিল তারা। কিন্তু এখন ফের তাদের মধ্যেও সক্রিয়তা দেখা গেছে।

খবর মিলেছে, এইসব জঙ্গিদের টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সম্প্রতি আইএসআই-এর সঙ্গে হিজবুল মুজাহিদিন ও জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর কম্যান্ডারদের বৈঠক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কাশ্মীর থেকে ফের তরুণ জঙ্গিদের দলে টানার চেষ্টা চলছে। উপত্যকায় সন্ত্রাস তৈরি করার ছকও কষছে আইএসআই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here