দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আবাদা স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে উদ্ধার হল হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট এলাকার সিপিএম নেতা সৌমেন কুণ্ডুর (৪২) দেহ । তাঁর মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। দল এবং পরিবারের বক্তব্য, সৌমেন আত্মহত্যা করার মতো কোনও অবসাদে ছিলেন না। তাঁরা মনে করছেন, সৌমেনকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে শালিমার জিয়ারপি। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বোঝা যাবে কী কারণে কী কারণে সৌমেনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের একটি অংশ মনে করছে, ট্রেন থেকে পরেও গিয়ে থাকতে পারেন সৌমেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন সৌমেন কুণ্ডু। সাইকেলে চেপে বেরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন, দুপুরে তিনি খেতে আসবেনা। তবে অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের তরফে চ্যাটার্জিহাট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশের তরফ থেকে তাঁরা কোনও সহযোগিতা না পাওয়ায় হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনারের অফিসে যোগাযোগ করেন পরিবারের লোকজন। তাঁরা অনুরোধ করেন, ফোনটা ট্র্যাক করা হোক, কারণ তখনও ফোনে রিং শোনা যাচ্ছিল। পুলিশ ফোন ট্র্যাক করতে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে লালবাজারেও তাঁরা যোগাযোগ করেন।

অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরার খবর পেয়ে সার্কুলার রোডে সৌমেনের বাড়িতে পৌঁছে যান এলাকার সিপিএম নেতা কর্মীরা। দলের সাউথ ইস্ট এরিয়া কমিটির সদস্য সন্দীপ কোলে বলেন, সৌমেনের কোনও শত্রু ছিল না। তিনি দলের শাখা সম্পাদক ছিলেন। আনিস মৃত্যুর ঘটনার পর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেও মানতে চাইছে না পরিবার। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হোক, এটাই চাইছেন তাঁরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here