দেশের সময় : ৭ এপ্রিল গুড ফ্রাইডে। বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টধর্মের অনুগামীরা ইস্টারের আগের শুক্রবার গুড ফ্রাইডে পালন করেন। এই দিনটিকে অনেকে ব্ল্যাক ফ্রাইডেও বলেন। দিনটির সঙ্গে যদিও জড়িয়ে রয়েছে এই মর্মান্তিক ইতিহাস। প্রায় দুই হাজার বছর আগে এই দিন ঠিক কী ঘটেছিল। শুনলে আজও শিউরে ওঠেন অনেকে।
চলছে ইস্টার সপ্তাহ। তারই অংশ হিসেবে আসছে গুড ফ্রাইডে।এখন বাঙালির কাছে একটা ছুটির দিন। তবে খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ের কাছে দিনটি খুবই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। বাকিরা দিনটি নিয়ে হয়তো তত সচেতন নন। তবে, গুড ফ্রাইডে দিনটিকে নিয়ে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন থাকে, কৌতূহল থাকে। সব চেয়ে বড় জিজ্ঞাসা থাকে এই যে, যেদিনটিতে যিশুকে ক্রুশে চড়ানো হল, হত্যা করা হল তাঁকে, সেই দিনটি ‘গুড’ হয় কী করে? নন-ক্রিশ্চিয়ান কমিউনিটির মধ্যেই সাধারণত এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খায়, কেননা, ক্রিশ্চিয়ান কমিউনিটির মানুষজন এটা জানেন।
কী যুক্তি যিশুর ক্রুসিফিকেশনের দিনটিকে ‘গুড’ বলার?
বলা হয়ে থাকে, দিনটিকে ‘গুড’ বলা হয়, দিনটিকে ‘হোলি’ বোঝাতে। ‘হোলি’ মানে পবিত্র। যা পবিত্র তা-ই ভালো। কিন্তু কেন পবিত্র? কারণ, মনে করা হয়, যিশু তাঁর আত্মবলিদানের মধ্যে দিয়ে আসলে এই মানবজাতিকে রক্ষা করলেন। তাই যিশুর আর এক নাম ‘দ্য সেভিয়র’, মানবত্রাতা তিনি। কেউ কেউ বলেন, শব্দটি আসলে হল ”গড’স ফ্রাইডে”– ঈশ্বরের শুক্রবার। ”গড’স ফ্রাইডে” শব্দটিই পরে কোনও ভাবে ‘গুড ফ্রাইডে’ শব্দে পরিবর্তিত হয়েছে।
‘গুড’ শব্দটির এই ব্যঞ্জনা আছে বলেই, ক্রিসমাসকে ‘গুড টাইড’ বলা হয়, বাইবেলের বার্তাকে ‘গুড নিউজ’ বলা হয়।
আগে ‘গুড ফ্রাইডে’কে অ্যাংলো স্যাক্সনরা ‘লং ফ্রাইডে’ বলত। ‘গ্রেট ফ্রাইডে’ও বলা হত একটা সময়ে। এই দিনটিতে যিশু তাঁর পিঠে ক্রস নিয়ে কয়েক মাইল হেঁটে গিয়েছিলেন। পরে সেই ক্রসেই বিদ্ধ করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। দিনটিকে এজন্য ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ও বলা হয়। দিনটি খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে খুবই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। তবে এটি আদ্যন্ত একটি শোকের দিন। মধ্যকলকাতার একটি চার্চে ছবিগুলি তুলেছেন – ধ্রুব হালদার৷