দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: একটানা ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল ১২.৫ শতাংশ।সোমবারেও তা অব্যাহত থাকল।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী ওমিক্রন। ডেল্টার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে দেশে। প্রতি দিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।

সোমবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় মোট এক লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল প্রায় তিন কোটি ৫৭ লক্ষ সাত হাজার ৭২৭। দৈনিক সংক্রমণের হার ১৩.২৯ শতাংশ।

সুস্থতার হারও কিছুটা কমে ৯৬.৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সাত লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৩৬ জন।

রবিবারের তুলনায় সোমবার দেশে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল ১২.৫ শতাংশ।  সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন। করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৬ জন। দেশে পজিটিভি রেট বেড়ে ১৩.২৯ শতাংশ। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯। জিন পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, দেশে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৩। 

সব থেকে বেশি আক্রান্ত পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৪৪ হাজার ৩৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে। একদিনে এই রাজ্যে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত। দ্বিতীয়তেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত। এরপরেই রয়েছে দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্নাটক।

একই সঙ্গে দেশে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের মাত্রা ছুঁল। দেশে বর্তমানে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৩৩ জন। তবে তাঁদের মধ্যে এক হাজার ৫৫২ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওমিক্রন আক্রান্তের দিক থেকেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে মোট এক হাজার ২৬২ জন করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখে দিল্লিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছেছে রাজস্থান। রাজস্থানে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৯। তৃতীয় স্থানে দিল্লি। দিল্লিতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৩ জন। হঠাত্ করে দেশে করোনার স্ফীতি বৃদ্ধির পিছনে ওমিক্রনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে দেশে শুরু বুস্টার ডোজ টিকাকরণ। দেশের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরাই প্রথমে বুস্টার ডোজ পাবেন। অন্যদিকে জোরকদমে চলছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here