দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। তারইমধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সোমবার থেকেই রাজ্য চালু হয়েছে কড়া কোভিডবিধি। এই পরিস্তিতিতে যাতে বাংলার কোভিড-আক্রান্ত  আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ-জনের কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে বিশেষ নির্দেশ জারি করল নবান্ন।

কোভিড-আক্রান্ত আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারগুলিকে যেন দ্রুত খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। এই মর্মে জরুরি নির্দেশ জেলাগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন। আজই জেলাগুলিতে অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকরী করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি যাঁরা বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন তাঁদের খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।

তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে গোটা দেশ। এ রাজ্যেও দ্রুত ছড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে বাংলার গ্রামে থেকে শহরে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় যাতে কোভিড আক্রান্ত দরিদ্র মানুষ-জনকে সমস্যায় না পড়তে হয় সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নবান্নের। সেইমতোই জেলাশাসকের নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব। 

নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, মুড়ি, চাল, ডাল ও বিস্কুট একটি প্যাকেটে করে দরিদ্র-কোভিড আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসন যাতে খাবারের প্যাকেট প্রতিটি দরিদ্র ও কোভিড আক্রান্ত মানুষের  বাড়ি অব্দি পৌঁছাতে পারে দ্রুত তার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে এই নির্দেশে। জেলায় জেলায় তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কমিশনের কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই কাজটি করতে হবে। এমনটাই নবান্ন থেকে প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের। শুধু তাই নয় কাল বিলম্ব না করে আজ থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটা প্যাকেটে করে এই খাবারগুলো বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর  পরামর্শে আজ মুখ্যসচিব এই নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত জেলা গুলিকে।


প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারীর শুরু থেকেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি এই ভাবে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া ও আর্থিকভাবে সমস্যায় থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল বার বার। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় কম্যুইনিটি কিচেন ও ফুড ডোনেশন ক্যাম্প। সরকারি উদ্যোগের পাশপাশি একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ। কিন্তু এবার পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। আরও একটা দুঃসময়ের ইঙ্গিত পেয়েই তাই তড়িঘড়ি রাজ্যে বিধিনিষেধ কড়া করেছে প্রশাসন।

কিন্তু এই পরিস্থিতিটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই। সেইকথা মাথায় রেখেই তাই বাড়ি বাড়ি শুকনো খাবার ও ন্যুনতম প্রয়োজনের জিনিস পৌঁছে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যসরকার। যাতে কোনওভাবেই বিধি-নিষেধ বা করোনা পরিস্থিতির জেরে সমস্যায় না পড়তে হয় বাংলার গ্র্রাম ও শহরের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here