দেবশের সময় : বনগাঁ পৌরসভার নবনির্বাচিত পৌরপ্রধান গোপাল শেঠসহ অন্যান্য পৌর প্রতিনিধিদের সংবর্ধিত করল পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স এ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন৷ ১৯৯০ সালের বনগাঁর ইছামতি নদীর ভাসমান সেতুর ছবি ফ্রেমবন্দি করে শনিবার সেটি তুলে দেওয়া হল পুরপ্রধানের হাতে৷

পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স এ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, তৃণমূলের আমলে বনগাঁ জুড়ে বিভিন্ন যে উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে তার একটি কোলাজ তুলে দেয়া হয় পৌরপ্রধানের হাতে। পৌর প্রধান এবং পৌর প্রতিনিধি ছাড়াও পেট্রাপোল এক্সপোর্ট- ইমপোর্ট এর বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্তাব্যক্তিদেরও এদিন সম্বর্ধিত করা হয়।

তবে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন দীর্ঘদিন ধরেই এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ট্রাকগুলি দিনের বেলায় শহরের মধ্যে দিয়ে যাতাযাত করায় যানজটের কারণে বিপাকে পড়েছেন ছাত্র- ছাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাত্র-ছাত্রী ও নিত্য যাত্রীদের চরম অসুবিধার মধ্যে পরতে হচ্ছে। অহরহ দুর্ঘটনা এমনকি প্রাণহানি ঘটনা ঘটছে। এনিয়ে এদিন সরব হয়েছেন পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী ৷

তিনি জানান এর জন্য বিএস এফ-র কর্তৃপক্ষ দায়ী। তারা নিরাপত্তার নামে অতিরিক্ত সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ চেকিং এর নামে হয়রানি করা হচ্ছে ট্রাক চালকদের। এতদিন পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলি যথাযথ চেকিং এর পরে সকালের মধ্যেই সিডব্লিউসি পার্কিংয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো।

কিন্তু এখন চেকিং এর জন্য এত সময় নেওয়া হচ্ছে যার জন্য সকাল দশটা এগারোটা পর্যন্ত বনগাঁ শহরের বিভিন্ন অংশে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রাক। স্কুল কলেজ খুলে যাওয়ায় এই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। ঘটছে দুর্ঘটনা।

একই বক্তব্য ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সদস্য পরিতোষ বিশ্বাসের। তিনি জানান এর আগে সকালের মধ্যেই পার্কিং-এ ঢুকে যেত বিভিন্ন সীমান্তবর্তী চলাচলকারী ট্রাকগুলি কিন্তু বর্তমানে বিএসএফ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এত দীর্ঘক্ষণ ধরে চেকিং করছে যে ট্রাক গুলি বেলা দশটা, এগারোটা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছে।

বনগাঁয় দেখা যাচ্ছে তীব্র যানজট, অস্বস্তিতে পরতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের। ঘটছে দুর্ঘটনা এ ব্যাপারে তিনি পৌর প্রধানকে সবিস্তারে জানিয়েছেন বলে দাবি করলেন পরিতোষ বাবু। এ ব্যাপারে বি এস এফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুরোধ জানানো হয়েছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ অভাবেই বি এস এফ জওয়ানদের চেকিং এ এত সময় লাগছে বলে সব মহলের ধারণা। এ ব্যাপারে নতুন পুরপ্রধানের হস্তক্ষেপ চাইছেন সকলে।

এব্যপারে পুরপ্রধান গোপাল শেঠ বলেন, বিষয়টি আমরা পুলিশ-প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বৈঠক করে এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব৷ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সব সময় মানুষের কথা ভাবেন , তিনি কখনই চান না মানুষ কোন কারণে কষ্টে থাকুক৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here