দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবার বেলা গড়াতেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জন। এদিন শহর এবং শহরতলির মূলত বাড়ির প্রতিমা এবং বেশকিছু পাড়ার প্রতিমার নিরঞ্জন আছে। বিসর্জনে যাতে বিপর্যয় না ঘটে, তার জন্য আগে থেকেই কোমর বেঁধে ছিল পুলিশ থেকে প্রশাসন। তবে তার মধ্যেই ঘটে হয়েছে বিপর্যয়।

গাড়ি গাড়ি করে আসছে মানুষ আসছেন মাকে ভাসান দিতে। এমন পরিস্থিতিতে দশমীর দুপুরে বিসর্জন চলাকালীন গঙ্গার ঘাটে ঘটল বিপত্তি (! নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলকাতার পুরসভার একটি পে লোডার ধাক্কা মারে কয়েকজনকে। জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন।


এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাবুঘাট চত্বর। মুহূর্তে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে আগত মানুষদের মধ্যে। জানা গেছে, ওই পে লোডারের চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। এমনকি তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুর কর্মীরাও।

খবর, এদিন দুপুরে একটি ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা ভাসান দিতে আসেন পুজো উদ্যোক্তরা। বিসর্জন দেওয়ার জন্য যখন প্রতিমা নিয়ে গঙ্গার ধারে পৌঁছন, তখন হঠাৎই পুরসভার একটি পে লোডার কাঠামো তুলতে এগিয়ে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে কয়েকজনকে।

ঘটনায় আহত হন একজন। তার পরই উদ্যোক্তারা ক্ষেপে যান। চাকায় পা দিয়ে উঠে, চালকের আসনে বসে থাকা ব্যক্তিকে এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষি মারা হয়। যদিও পরে পুলিশ এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এদিন বিসর্জনের জন্য বাবুঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। তাই অবাধে প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন এখানে। গঙ্গার গাহতে পুলিশি নিরাপত্তাও রয়েছে ঢিলেঢালা। এখন তুলনামূলক লোক কম, না হলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত।

বাবুঘাটে কেন পুলিশ কম ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তরে দেবাশিসবাবু জানান, ‘পুলিশ কম ছিল সেটা শুনেছি। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে আলোচনা করব।’

যদিও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে তৎক্ষণাৎ। আজ বিপর্যয় এড়াতে শহরের সব ঘাটেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। 

সংবাদমাধ্যমকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, পুরসভার ক্রেনটির ব্রেক ফেল হয়নি। চারদিকে জল থাকায় চাকা স্কিড করে গিয়েছিল। ব্রেকে চাপ দিলেও তা সময়ে লাগেনি। একটু এগিয়ে যায়। সামনে একজন চলে এসেছিল। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পিজি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত তেমন গুরুতর নয়। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

এই ঘটনার জেরে মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্রেন চালককে টেনে বার করে মারধর করেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁকে বাঁচাতে সেখানে হাজির হন অন্য পুরকর্মীরা। আর সেই সময় উত্তেজিত জনতা তাঁদেরও মারধর করে। এর ফলে দু’পক্ষের মধ্যেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পুরকর্মীদের অভিযোগ, গোটা ঘটনার সময় বাবুঘাটে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা থাকায় এই মুহূর্তে এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here