“দূর হোক সাম্প্রদায়িক ভেদ:” সম্পাদকীয়: দেশের সময়ঃ

0
580

দূর হোক সাম্প্রদায়িক ভেদ- দেশের সময়:পুজো শেষ হোল সবেমাত্র।বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে বাঙালি।বাংলা ও বাঙালির এই শারদীয়া প্রীতি এক ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি হয়ে বিশ্বের কাছে এক মানব বন্ধনের বার্তা পৌঁছে দিতে ব্যস্ত।এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমরাও বলি এই শুভেচ্ছা বার্তার মধ্যস্থতায় দিকে দিকে ছড়িয়ে যাক ভালবাসা ও সহমর্মিতার আহ্বান।দূর হয়ে যাক সব সাম্প্রদায়গত ভেদাভেদ।আমরা যখন সবেমাত্র আলো উত্সবের ঝলসায় শারদীয়া-বিজয়ার সময় টাকে অতীক্রম করেছি,আমাদের সামনে যখন দীপাবলির আহ্বান অপেক্ষা করে আছে তখন গোটা দেশ জুড়ে কোথায় যেন একটা অজানা আতঙ্ক আমাদের গ্রাস করতে ছাইছে।সাম্প্রদায়িক ছুঁড়িতে শান দিয়ে মানুষে মানুষে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে কারা যেন এক কূট কৌশল করার আয়োজন করে চলেছে।পাড়ায় পাড়ায় যেন ক্রমেই জেগে উঠছে এক অজানা আতঙ্ক।ধর্মের জিগির তুলে যেন মানুষকে মনুষ্যত্বের ধর্ম ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।সাম্প্রদায়িক হানাহানির দিয়ে কারা যেন আবার রাজনীতির লাভ ক্ষতির অংক সাজাতে চাইছে।আমাদের তাই সতর্ক হওয়ার সময় এখন।এখন আমাদের বুঝে নেওয়ার সময় যে হিন্দু বা মুসলমান উত্সব যে সম্প্রদায়েরই হোক না কেন তা মানুষে মানুষে মিলনের ক্ষেত্র তৈরি করে।আলো ঝলমল উত্সব যদি কোন সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের বীজ বপন করে তবে তা উ্ত্সব থাকে না,হয়ে যায় সংকীর্ণ হানাহানির কৌশল মাত্র।আমাদের এখন তাই সোচ্চারে বলার সময় বিজয়ার প্রীতি শুভেচ্ছা শুধু নির্দিষ্ট হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের জন্য নয় তা সব ধর্মের মানুষের জন্যই।মানুষকে ভালবাসার মন্ত্র উচ্চারণ করা হয় বিজয়ার সম্প্রিতীর মধ্য দিয়ে।বিজয়া ও দীপাবলিকে আমরা কোন ভাবেই ধর্মের কোন নির্দিষ্ট গন্ডীতে আটকে না রেখে,ছড়িয়ে দিতে চাইবো সব সম্প্রদায়ের মধ্যে।আমাদের লক্ষ্য হোক মানুষে মানুষে ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন।হিন্দু বা মুসলমান জন্ম সূত্রে যে যাই হোক না কেন আলোর উত্সবে সবাই স্বাগত।সব ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে আমরা হৃদয়ে হৃদয় মিলিয়ে মানবতার জয়গান গাইতে চাই।তাই বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছার বন্ধনে বেঁধে নিতে চাই হিন্দু,মুসলমান,শিখ,খ্রিষ্টান সহ সব ধর্মের মানুষজনকে।যদি কেউ কোন সংকীর্ণ স্বার্থে আমাদের এই শারদীয়া বা দীপাবলিকে ব্যবহার করতে চায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা ও বিবেক বুদ্ধিকে ব্যবহার করে রুখে দাঁড়াবো।আমাদের কাছে বিজয়া মানে মানবাতার শিক্ষা যা কোন ভাবেই সংকীর্ণ কোন ভাবনাকে প্রোশ্রয় দেয় না।তাই অই প্রয়াস যে বা যারা করবে আমরা শুভবোধ দিয়েই তার মোকাবিলা করবো।তাই আসুন বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছাকে সম্বল করেই আমরা সব সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে ও ভেদাভেদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার অঙ্গীকার করি।

Previous articleThe protesters were raising slogans against the Punjab government:
Next articleদুর্গাপুজোর কার্নিভাল ঘিরে উন্মাদনা বনগাঁয়:মৌ বিশ্বাস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here