প্রদীপ দে – ঢাকাঃ মহা নবমীতে ঢাক, কাসর, ঘন্টা, উলুধ্বনিতে মুখরিত বাংলাদেশের পুজোমণ্ডপগুলিও। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর এবং বরিশালে রামকৃষ্ণ মিশনের শাখায় কুমারীপুজো হল শাস্ত্র মতে প্রতিবছরের মতোই। মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী এবং মহানবমী এই তিনদিনই মহাদেবীর পুজোর শেষে এক বালিকাকে নতুন বস্ত্র পরিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করার রীতিই কুমারীপুজো। মহাসপ্তমীর পুজো শেষ হওয়ার পর থেকেই চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ কুমারীপুজোর আয়োজন। এই পুজোর মূল ভক্ত সনাতন ধর্মের কিশোরীরা। সাধারণত মহাষ্টমীর পুজো শেষেই কুমারীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তবে মতান্তরে নবমীতেও এই পুজো করেন অনেকে। কুমারীপুজোর দার্শনিক তত্ত্ব নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী জানান, ‘কুমারী পুজোর প্রকৃত অর্থ হল নারীতে পরমার্থ দর্শন এবং পরমার্থ অর্জন। স্বামী বিবেকানন্দ মাতৃজাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ১৯০১ সালে বেলুর মঠে শ্রীরামকৃষ্ণ ও মা সারদাদেবীর অনুমতিক্রমে কুমারী পুজোর পুনঃপ্রচলন করেন। ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান মহারাজ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ বললেন, ‘বৃহদ্ধর্মপুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী দেবতাদের স্তরে প্রসন্ন হয়ে দেবী চণ্ডিকা কুমারী কন্যারূপে দেবতাদের সামনে দেখা দিয়েছিলেন। দেবীপুরাণে এবিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।’ মহরাজ আরও জানালেন, ‘অষ্টমীর সকাল ১১টা থেকে কুমারীপুজো শুরু হয়েছিল। সনাতন শাস্ত্রে যা যা করণীয় সবই পালন করা হয়েছে। সামাজিকভাবে কোনও বিধিনিষেধ ছিল না পুজোয়। সনাতন ধর্মে যা আছে, তা নিয়েই আমাদের আয়োজন।’
মহা নবমীতে ঢাক,কাসর,ঘন্টা, উলুধ্বনিতে মুখরিত বাংলাদেশ প্রদীপ দে- ঢাকা: দেশের সময়:
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পুজোমণ্ডপ পরিদর্শন এবং প্রসাদ বিতরণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বুধবার দুপুরে তিনি মন্দিরে এসে সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বাংলাদেশবাসীর জন্য ভারত সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু প্রকল্প জারি রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন শ্রিংলা। বাংলাদেশের প্রান্তিক গ্রাম গুলিতে এবার পুজোয় বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন বাংলাদেশ সরকার৷ –