দেশের সময় , বাগদা: কাজের সন্ধানে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছিল এক নাবালিকা । দালালের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ওপার বাংলা থেকে সে প্রবেশ করেছিল এদেশে। কিন্তু ভাবতে পারেনি যে, এখানে এসে তার সঙ্গে এত বড় সর্বনাশ ঘটবে। অভিযোগ, ওই নাবালিকার একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ওই দালাল এবং আরও কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাগদা এলাকায়। অভিযুক্ত সবাইকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে ওই দালালের সাহায্যে কাঁটাতার টপকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিল ওই কিশোরী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাজের খোঁজেই এপারে চলে এসেছিল সে। কিন্তু কাজ তো হয়ইনি, উল্টে সেই দালালের লালসার শিকার হতে হল তাকে। অভিযোগ, ১৮ আগস্ট অভিযুক্ত দালাল-সহ মোট চারজন অসহায় নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে। তারপর সেখানেই ফেলে রেখে চলে যায়।
এরপর সেই নাবালিকা বনগাঁর হরিদাসপুর বিওপির পেট্রাপোল সীমান্ত থানায় গিয়ে চারজনের নামেই অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার হয় চারজনই।
শনিবার তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সনৎ বৈরাগী, প্রথম মণ্ডল, হিরো দাস ও প্রদীপ বিশ্বাস। অভিযুক্তদের তদন্তের স্বার্থে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলাও রুজু করা হয়েছে।