গোটা দেশ জুড়ে বেকারির লাগামহীন বিস্তৃতি।লিঙ্গ বিভাজনের কুফল ছড়িয়ে রয়েছে দেশের সর্বত্র।মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে অঢেল সম্পদ আর সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ হতাশা আর হাহাকারকেই সঙ্গী করে দিন গুজরান করতে বাধ্য হয়।রঙবাহারি রাজনীতির মঞ্চে নানা প্রতিশ্রুতির ফানুস ওড়ানো হয়,তার পর সবাই সব ভুলে যান।সব রঙের নেতা-নেত্রীরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নিজেদের ক্ষমতার রাশকে আর দৃঢ় করতে।সবাই জানেন এ দেশের রাজনীতি আসলে বিনা ইনভেস্টমেন্টের লাভজনক ব্যবসা।সেই ব্যবসার কারবারীরা যে যার মতো ফায়দা তুলতে ব্যস্ত থাকেন আর জীর্ণ থেকে আর জীর্ণ হয় সাধারণ মানুষের জীবন-যাপন।
যে দলের হয়ে জিতল,পরোক্ষনেই যারা দল পাল্টে অন্য দলে নাম লেখায় সেই ধান্দাবাজ-ইতর নেতাদের দলমত নির্বিশেষে ধিক্কার সহ ফিরিযে দেওযার শপথ নিন সাধারণ মানুষ।মানুষের প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ ও যারা ভোটে জিতে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন তাদেরও হারিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিন সাধারণ মানুষ।সারদা-নারদাতে যাদের নাম জড়িয়েছে,যাদের প্রকাশ্যে হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গেছে তাদের ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিক সাধারণ মানুষ।
কোন দল নয় ভাল মানুষ যে তাকে জনপ্রতিনিধি করুন সকলে।সাধারণ মানুষ বেরিয়ে আসুন সব দলীয় আনুগত্য থেকে।মানুষের স্বার্থ রক্ষার লড়াইতে যে থাকবেন তাকেই প্রতিনিধি বাছুন সকলে।নাগরিক সচেতন না হলে,অন্ধ দলীয় আনুগত্য থেকে মুক্ত না হতে পারলে,দলতন্ত্রের থাবা থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়।এবার তাই রাজনৈতিক দল গুলোকে মনে করিয়ে দেওয়া যাক মানুষের স্বার্থ রক্ষার লড়াই শুরু না করলে সমর্থন মিলবে না।তবে আবার বলা তার জন্য দরকার সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠা,আমরা তার জন্য তৈরি তো?