দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ স্থিতিশীল রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সৌরভ। হাসপাতাল সূত্রে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।কোনওরকম সমস্যা ধরা পড়েনি তাঁর।
সৌরভের চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের চিকিৎসকদল গঠন করা হয়েছে। এই দলে রয়েছেন সরোজ মণ্ডল, সপ্তর্ষি বসু, সৌপ্তিক পণ্ডা। এ ছাড়াও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক দেবী শেঠি ও আফতাব খানের।
সোমবার সকালে অসুস্থ বোধ করায় একটি টেলিভিশন শোয়ের শ্যুটিং বাতিল করতে হয়। সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় কোভিড টেস্ট করানো হয় মহারাজের। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। জানা যায়, তাঁর ভাইরাল লোড (সিটি ভ্যালু) ১৯.৫। সৌরভ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকবেন নাকি বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলেননি ডাক্তাররা। তবে কার্ডিয়াক কোমর্বিডিটি থাকায় তাঁকে হাসপাতালেই রাখা হয়েছে।
গতকাল রাত থেকেই চিকিৎসা চলছে মহারাজের। তাঁর চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়েছে। সেই বোর্ডে রয়েছেন ডাক্তার সপ্তর্ষি বসু, সৌপ্তিক পণ্ডা ও সরোজ মণ্ডল। চিকিৎসক দেবী শেঠি ও আফতাব খানের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
সাম্প্রতিক সময় মুম্বইতে গিয়েছিলেন সৌরভ। এর আগে কয়েকবার বিদেশ সফর করেছেন। কোথা থেকে সংক্রমণ ছড়াল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মহারাজের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গত বছর কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সৌরভের বৌদি তথা স্নেহাশিসের স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেই সময়ে সিএবি সচিবকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছিল। বেহালার বাড়িতে এক সপ্তাহ অন্দরবাসে ছিলেন সৌরভও। কোভিড পরীক্ষাও করিয়ছিলেন, সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
কিছুদিন আগেই এক এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, বোর্ডের কাজের জন্য দেশ বিদেশ ঘুরতে হয়েছে। ফলে শেষ সাড়ে চার মাসে সবমিলিয়ে ২২ বার কোভিড পরীক্ষা করাতে হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁর।
এই বছরের শুরুতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভ। গত ২ জানুয়ারি হৃদযন্ত্রে সমস্যার পরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বুকে প্রথমে একটি স্টেন্ট বসে। তারপর দিন পনেরো বাদে আরও দুটি স্টেন্ট বসেছিল। তারপর সাময়িক ঘরে থেকে বিশ্রাম নেওয়ার পরে নিত্য রুটিন অনুযায়ী ফের আগের ছন্দে ফিরে যান মহারাজ। পুরোদমে কাজও শুরু করে দেন। বোর্ডের কাজের পাশাপাশি টেলিভিশন ও বিজ্ঞাপন শোয়ের শ্যুটিংও করছিলেন। এর মাঝেই কোভিড ধরা পড়ল তাঁর।