দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলেজ শেষের পরেই প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন প্রেমিকাকে। বিয়ে প্রায় হয়েও যাচ্ছিল। তবে বাধ সাধে ভারত-চিন যুদ্ধ। বিজনেস টাইকুন রতন টাটার জীবনের নানা অজানা কাহিনী নিয়ে তিনটে খণ্ড প্রকাশ করতে চলেছে ফেসবুকের অন্যতম জনপ্রিয় পেজ ‘হিউম্যানস অফ বম্বে’।
https://www.facebook.com/188056068070045/posts/1325022811040026/
প্রকাশ পেয়েছে প্রথম কিস্তি। আর সেখানেই নিজের ছোটবেলা, কৈশোর এবং যৌবনের নানা গল্প শুনিয়েছেন রতন টাটা। শিল্পপতির কথায়, ঠাকুমা নাভাজবাই টাটার কাছেই বেড়ে উঠেছিলেন তিনি এবং তাঁর দাদা। তখন সদ্য বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে রতন টাটার বাবা নাভাল টাটা এবং মা সুনির। এরপর ফের বিয়ে করেন সুনি। মায়ের দ্বিতীয়বার বিয়ে করা নিয়ে ছোটবেলায় স্কুলে বিভিন্ন সময়ে নানা বাঁকা মন্তব্যও শুনতে হয়েছিল তাঁদের দুই ভাইকে। তা সত্ত্বেও ঠাকুমার কাছে বেড়ে ওঠাটা ছিল বেশ আনন্দের।
একটু বড় হতেই পড়াশোনার জন্য আমেরিকা পাড়ি দেন রতন টাটা। যদিও তাঁর বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে পড়াশোনা করুক ব্রিটেনে। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হোক। তবে রতন টাটার আগ্রহের বিষয় ছিল আর্কিটেকচার। এমনকি তাঁর বাবার পছন্দের বাদ্যযন্ত্র ছিল পিয়ানো। চেয়েছিলেন ছেলে পিয়ানো বাজানো শিখুক। তবে রতন টাটার পছন্দের বাদ্যযন্ত্র ছিল বেহালা। বাবার সঙ্গে বিস্তর মত পার্থক্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমেরিকায় আর্কিটেকচার নিয়েই পড়াশোনা করেন তিনি। তারপর শুরু হয় চাকরি জীবন। কর্মসূত্রেই আলাপ হয় এক তরুণীর সঙ্গে। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। বান্ধবীকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন রতন টাটা।
কিন্তু সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন শিল্পপতির ঠাকুমা। দেশে ফেরা নিতান্তই জরুরি ছিল। এদিকে তখন যুদ্ধ বেঁধেছে ভারত-চিনের। রতন টাটা অবশ্য ভেবেছিলেন বান্ধবীও তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরবেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবার এমন যুদ্ধের আবহে তাঁকে ভারতে আসতে দিতে রাজি হননি। তাই শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করতে যান রতন টাটা। নিউ ইয়র্কের এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচারে ডিগ্রি পাওয়ার পর লস অ্যাঞ্জেলসে একটি কোম্পানিতে চাকরি নেন তিনি। আর এইসব ক্ষেত্রেই সবসময় ঠাকুমাকে পাশে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রতন টাটা। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে, জটিল মুহূর্তেও ঠাকুমার শেখানো কথাবার্তাই মনে পড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই ইনস্টাগ্রামে ট্রেন্ডিং রতন টাটা। প্রথমে নিজের যৌবনের ছবি শেয়ার করে সকলের মনজয় করেছিলেন এই বিজনেস টাইকুন। তারপর আবার ‘ছোটু’ নামে বিখ্যাত হয়েছেন তিনি। গত অক্টোবরে ইনস্টাগ্রামে প্রোফাইল খুলেছিলেন রতন টাটা। কয়েক মাসেই ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ‘হিউম্যান্স অফ বম্বে’-র পেজে রতন টাটার জীবনের এসব অজানা গল্প প্রকাশ পেতেই এবার ফেসবুকেও ভাইরাল হলেন শিল্পপতি।