দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে তীব্র আকার নিল ক্যাবের প্রতিবাদ। শুক্রবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় পার্ক সাকার্স, রাজাবাজার, নিউটাউন, রাজারহাট সহ শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে। হাওড়া, শিয়ালদার বিভিন্ন শাখায় রেল অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া স্টেশনে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। অবরোধকারীরা আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়লে জখম হন চালক। স্টেশন মাস্টারের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় তারা।

হাওড়া–খড়গপুর শাখা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণপূর্ব রেলের ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্টেশনে থমকে পরে ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস, করমন্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেন।
একইভাবে বিভিন্ন জায়গায় থমকে পড়ে ১১টি লোকাল এবং বহু প্যাসেঞ্জার ট্রেনও। হাওড়া থেকে ছাড়ছে না লোকাল। শুধু দক্ষিণপূর্ব রেলই নয়, পূর্ব রেলেও একই ছবি। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। নিজেদের প্রাণরক্ষায় স্টেশন ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যান স্টেশনমাস্টার সহ রেলকর্মীরা।

বেলডাঙায় অবরোধ–বিক্ষোভের ফলে থমকে যায় শিয়ালদার লালগোলা–কৃষ্ণনগর শাখায় ট্রেন চলাচল। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার বাসুলডাঙায় রেললাইনের উপর মোদি, অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তার জেরে থমকে পড়ে শিয়ালদা দক্ষিণের ট্রেন চলাচলও। রেলকর্মীদের জন্য নিরাপত্তা বাড়াতে রাজ্যের কাছে আবেদন করেছেন দক্ষিণপূর্ব রেলের পিআরও সঞ্জয় ঘোষ।


ক্যাবের বিরুদ্ধে টায়ার জ্বালিয়ে ৬ এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চলে প্রতিবাদ, বিক্ষোভকারীরা। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বাগনান, উলুবেড়িয়া, জগদীশপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চল এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের আরামবাগ, হরিণখোলায় বিক্ষোভ হয়।

হরিণখোলায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিসের গোলমাল হয়। পথ অবরোধ, ভাঙচুরে বিপর্যস্ত সড়ক পরিবহনও। চূড়ান্ত দুর্ভোগে যাত্রীরা। এদিন সন্ধ্যার দিকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জানিয়ে দেন, বেলডাঙা, উলুবেড়িয়ায় বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ থেমেছে। দুই জায়গাতেই শান্তি ফিরতে শুরু করেছে। ‌‌‌‌‌

‌‌‌‌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here