দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্পেশাল উৎসব অগ্রিম তথা স্পেশাল ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সোমবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নির্মলা এদিন বলেন, মূলত বাজারে চাহিদা তৈরির জন্যই সরকার এই পদক্ষেপ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা উৎসব অগ্রিম পেলে সেই টাকা জিনিসপত্র কেনায় খরচ করবে। তাতে বাজারে চাহিদা তৈরি হবে এবং উৎপাদন বাড়বে।
এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল, সরকার অগ্রিম তথা অ্যা়ডভান্স ঘোষণা করেছে। অনুদান। এই টাকা সহজ কিস্তিতে সরকারকে ফেরত দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য উৎসব অগ্রিম প্রচলিত ছিল। কিন্তু সপ্তম বেতন কমিশনের উৎসব অগ্রিম তুলে দেওয়া হয়। নির্মলা এদিন বলেন, এবার এক বছরের জন্য তা ব্যতিক্রমী ভাবে শুরু করা হচ্ছে। তাই বলা হচ্ছে স্পেশাল ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স স্কিম।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, আগে নন গেজেটেড কর্মীরা কেবল ফেস্টিভাল অ্যাডভান্স পেতেন। এখন সবাই সেই সুযোগ পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের একটা প্রি-লোডেড রুপে কার্ড দেওয়া হবে। তাতে ১০ হাজার টাকা ভরা থাকবে। এ জন্য ব্যাক চার্জ সরকার বহন করবে। ওই দশ হাজার টাকা ২১ মার্চের মধ্যে খরচ করতে হবে। তা ছাড়া দশটি সহজ কিস্তিতে তা সরকারকে ফেরত দিতে পারবেন কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের লিভ ট্রাভেল কনসেশন তথা এলটিসি-র জন্য এদিন নতুন কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজারে চাহিদা তৈরি করার জন্য এই পথে হাঁটা হচ্ছে। আসলে কোভিডের কারণে একমাত্র সরকারি কর্মচারীদের কোনও আর্থিক ক্ষতি হয়নি। তাঁদের বেতন কমেনি।
বরং তাঁরা নিয়মিত ভাবে যে সব জিনিসে খরচ করতে পারেন, তা কোভিডের কারণে করতে পারেননি। তাই তাঁদের কনজিউমার গুডস তথা উপভোক্তা সামগ্রী কেনায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে তা অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নির্মলা আরও বলেন, কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিও যদি এ ধরনের উৎসব অগ্রিম চালু করে তা হলে ঘরোয়া অর্থনীতিতে চাহিদা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। উৎপাদক থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবার এতে উপকার হবে।