দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রিস্ক বন্ডে সই করে হাসপাতাল থেকে ‘ছুটি’ পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শনিবার রাত ৯টার একটু আগেই তিনি ‘ছাড়া’ পেয়েছেন। সেখান থেকেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।

গত সোমবার নারদ মামলায় গ্রেফতার হন শোভন। সেই রাতেই তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলে থাকাকালীন শোভনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত মঙ্গলবার তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার পর থেকে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলেছে। শনিবার রাতেই শোভন জানিয়েছিলেন, পার্সোনাল রিস্ক বন্ডে সই করে হাসপাতাল থেকে বেরোতে চান। জেল সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সি জেলে কিছু ঔপচারিকতা সেরে সোজা গোলপার্কের বাড়িতে রওনা দেবেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।

হাসপাতালে জোর করে আটকে রাখা হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে, শনিবার দুপুরে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই অভিযোগ তোলার কয়েক ঘণ্টায় মধ্যেই শোভনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। সেখান থেকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মবিধি পালনের পর তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন এবং বাড়িতে ‘গৃহবন্দি’ থাকবেন আদালতের নির্দেশ মোতাবেক। সূত্রের খবর

এদিন বৈশাখী বলেছিলেন, ‘শোভনের অসুস্থতা আগে থেকেই ছিল। চক্রান্ত করা হচ্ছে। ক্ষোভে খাওয়া বন্ধ করেছেন শোভন। যেখানে আদালত গৃহবন্দি করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে কেন আটকে রাখা হচ্ছে। এটা অগণতান্ত্রিক। ফিরহাদ হাকিম মন্ত্রী বলে বাড়ি ফিরতে পারবেন, সাধারণ মানুষ হলে পারবেন না, এটা কেন হচ্ছে? ফিরতে হলে পর্ণশ্রীর বাড়িতে আসতে হবে, এসব বলা হচ্ছে। চাপ আসছে। কোথা থেকে চাপ আসছে জানি না। চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে এসএসকেএম। সিবিআই হেফাজতের থেকেও খারাপ অবস্থা এসএসকেএম -এ’।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বৈশাখী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে বলছি, এই জিনিস থামান। এতে শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে শোভনের। কেউ এসে দরজায় লাথি মারছে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর হাত মচকে দিচ্ছে। কারা করছে সব ছবি আছে’। হাসপাতালের জানলা দিয়ে শোভন বলেন, ‘আমাকে ডিসচার্জ করা হোক। আমি বন্ডেও বাড়ি যেতে চাই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। যাঁরা বিভিন্ন সময়ে জেলে কাটিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের মুখপাত্র হয়ে কথা বলছেন। সম্পূর্ণ আইনগত ভাবে বিষয়টি দেখা হোক। বেহালায় আমার বাড়ি আছে। সেখানে যিনি বসবাস করছেন, তাঁর সঙ্গে আমার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। এই চক্রান্ত করে আমাকে দমানো যাবে না’

শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়ির পেছনের একটি গাড়িতেই প্রেসিডেন্সি জেল পর্যন্ত যান তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বৈশাখী বলেন, তিনবেলা কিছু খাননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। দাদার মৃত্যু নিয়ে তিনি আগে থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সেক্ষেত্রে বাড়িতে থাকার সুযোগ যখন রয়েছে তিনি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বাড়িতেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here