দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত আনলক ২ পর্যায় চলবে দেশে। তারপরে আনলক ৩ পর্যায়ে কী কী বিষয়ে ছাড় দেওয়া উচিত তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে প্রতিটি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কীরকম ও এই সময়ে কী করা উচিত তা নিয়ে সোমবার প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সূত্রের খবর, প্রতিটি রাজ্যে বর্তমানে সংক্রমণ কোন জায়গায় রয়েছে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদী। সেইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং কেন্দ্রের তরফে কী কী সাহায্যের প্রয়োজন তা নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে।

ভারতে দিন দিন বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪৯ হাজার। দেশে মোট আক্রান্ত ১৩ লাখের বেশি। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার মানুষের। এভাবে রোজ সংক্রমণ রেকর্ড ভাঙায় চিন্তায় প্রশাসন।

সংক্রমণ বাড়লেও দেশে প্রতিদিন অবশ্য রেকর্ড ভাঙছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও। শুক্রবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। এখনও পর্যন্ত ৮ লাখের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর ফলে বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬৩.৪৫ শতাংশ। এই সুস্থতার হার আশা যোগাচ্ছে চিকিৎসকদের।

শুধুমাত্র দেশে নয়, বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের বৃদ্ধি চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। শুক্রবার ক্যাবিনেট বৈঠকের পরে কেন্দ্রের তরফে দেশের ন’টি রাজ্য যথা পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও অসমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আরও নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, কন্টেনমেন্ট প্ল্যান কার্যকর করতে হবে কড়া হাতে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়াতে হবে ও কার্যকরী ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট চালু করতে হবে।

এপ্রিল মাস থেকেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কী ভাবে এগোন উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। রাজ্যের তরফে বক্তব্য রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রতিটি পর্যায় ধরে ধরে এগোন হয়েছে। এমনকি মে মাসে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।

অবশ্য অনেক রাজ্যের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করলেও সেখানে সব রাজ্যকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র নিজেদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে রাজ্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই কেন্দ্র-রাজ্য বোঝাপড়ার অভাবের ফলেই দেশে সংক্রমণের ছবিটা এরকম বলেই অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here